ভারতের পরমাণু অস্ত্রসম্ভারের দায়িত্ব এখন ফ্যাসিস্ট, হিন্দু আধিপত্যবাদী নরেন্দ্র মোদী সরকারের হাতে। এ মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর টুইটে বলেছেন, "ভারতের পরমাণু অস্ত্রসম্ভারের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন ফ্যাসিস্ট, বর্ণবাদী, হিন্দু আধিপত্যবাদী নরেন্দ্র মোদী সরকারের হাতে। এ ব্যাপারে সারা পৃথিবীর নজর দেওয়া উচিত। এ এমন একটা বিষয় যার অভিঘাত শুধু এ অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়, এর অভিঘাত দুনিয়া জোড়া।"
আরও পড়ুন, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ভাষণ দেওয়াতেই হত্যা করা হয়েছিল কালবুর্গীকে
একদিন আগেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেছেন, কাশ্মীর থেকে নজর হঠাতে পাকিস্তানের উপর আক্রমণ করতে পারে ভারত। গত ৫ অগাস্ট কাশ্মীরে সংযোগমাধ্যম বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার ভারত প্রসঙ্গে পৃ্থিবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ইমরান খান।
The World must also seriously consider the safety & security of India's nuclear arsenal in the control of the fascist, racist Hindu Supremacist Modi Govt. This is an issue that impacts not just the region but the world.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) August 18, 2019
এর আগে ইমরান বলেছিলেন, "জার্মানিকে যেমন নাৎসিরা অধিকার করে নিয়েছিল, তেমনভাবেই ভারত এখন ফ্যাসিস্ট, বর্ণবাদী, হিন্দু আধিপত্যবাদী আদর্শ ও তার নেতৃত্বের দখলে চলে গিয়েছে। এর ফলে দু সপ্তাহ ধরে ৯০ লক্ষ কাশ্মীরি কার্যত আটক রয়েছেন। এ ঘটনা সারা দুনিয়ায় বিপদঘণ্টি বাজানো উচিত, একই সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের উচিত এখানে পরিদর্শক পাঠানো।"
আর এস এস নিয়ে বলতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, "যে কেউ গুগল করে দেখে নিতে পারেন বিজেপি-আরএসএসের আদর্শের সঙ্গে নাৎসিদের মিল কোথায়।"
আরও পড়ুন, সাভারকরের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল আরএসএস-এর?
তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ ভারতীয় মুসলিমকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছি এবং তাঁদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। দুনিয়ার জানা উচিত দৈত্য এখন বোতলের বাইরে বেরিয়ে পড়েছে এবং যদি আন্তর্জাতিক দুনিয়া এ অবস্থা বন্ধ করতে পদক্ষেপ না করে তাহলে আরএসএসের গুণ্ডারা ঘৃণা ও গণহত্যার মতবাদ ছড়িয়ে দেবে ।"
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের দিনই রাজনাথ সিং জানিয়ে দিয়েছেন যদি দু দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়, তবে তা হবে শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই।
Read the Full Story in English