ট্রেনের গতি বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে রেল মন্ত্রক। হাওয়ার গতিতে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে ছুটে যাবে ট্রেন। শতাব্দী ও রাজধানীর গতি বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট রেল মন্ত্রক। ড্রাইভারের কন্ট্রোল প্যানেল থেকে শুরু করে ইঞ্জিনের ডিজাইন সবকিছুর ভোলবদল করেছে চিত্তরঞ্জনের লোকোমোটিভ ওয়ার্কস। প্রসঙ্গত, পুরোনো WAP-5 ইঞ্জিনের ভোলবদল করা হয়েছে। বর্তমানে এই ইঞ্জিনের গতি ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার। যাত্রী ভর্তি এক্সপ্রেস নিয়ে ছুটে যাবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে।
বুধবার চিত্তরঞ্জনের রেল কারখানা থেকেই লঞ্চ করা হল ভারতের প্রথম রেল ইঞ্জিন, যা ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। যা ভারতের রেল ইতিহাসে নয়া নজির গড়ল। এই উচ্চগতি সম্পন্ন ইঞ্জিন টেনে নিয়ে যাবে রাজধানী, শতাব্দীর মত বিলাসবহুল দ্রুত গতির ট্রেন।
আরও পড়ুন:সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছল নাসার মহাকাশযান পার্কার
WAP-5 সংস্করণের এই ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনটি অ্যারোডাইনামিক এবং এরগোনোমিক আদলে তৈরি। স্বভাবতই এই ইঞ্জিন যেমন উচ্চগতি সম্পন্ন হবে, তেমনই বিদ্যুৎ বাঁচাবে বলে দাবি করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ইঞ্জিনের ভিতরে কী কী ঘটছে, তার সমস্ত খুঁটিনাটি রেকর্ড করা জন্য থাকবে ট্রেন চালক ও কর্মীদের ভয়েস এবং ভিডিও রেকর্ডিং সিস্টেম। এই সব রেকর্ডিং পর্যালোচনার জন্য তোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে রেল কতৃপক্ষ তরফে। কোনও ধরনের বিপত্তি বা দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে বা ঘটলে কী কী করণীয় তা এই রেকর্ডিং তথ্য পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম তৈরি এই বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের ক্ষমতা প্রায় ৫,৪০০ HP WAP-৫।
আরও পড়ুন: বিপদ আসার আগেই জানান দেবে ডিভাইস, গবেষণায় বাঙালি বিজ্ঞানী
CLW কে ২০১৭ থেকে ১৮ এর মধ্যে ৩৫০ টি ইঞ্জিন তৈরির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।এই প্রধান কর্মশালার পাশাপাশি ইতিমধ্যে ডানকুনিতে একটি ইউনিট তৈরি করা হয়। CLW পশ্চিমবঙ্গে ৩২৫ টি ইঞ্জিন নির্মাণ করেছিল এবং বারাণসীর ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (ডিএলডব্লিউ) তৈরি করেছে প্রায় ২৫ টির বেশি ইঞ্জিন।
২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে, সিএলডব্লিউ আরও বেশি ইঞ্জিন নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বছরের শুরুতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন যে এই বছরের জন্য ৫৭৩ টি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে বেশিরভাগই সিএলডব্লিউড্লু দ্বারা নির্মিত হবে এবং এর মধ্যে অনেক ইঞ্জিনই গতি থাকবে প্রায় ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।