করোনা মহামারী আবারও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। চিন,আমেরিকার পরে, এখন এই ভাইরাসের নতুন সাবভেরিয়েন্ট JN.1-এর প্রথম কেস ভারতে রিপোর্ট করা হয়েছে। কেরল থেকে প্রথম রিপোর্ট করা হয়েছে এই সাব ভ্যারিয়েন্টের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ফের মানুষের উদ্বেগ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নেওয়া যাক এই নতুন ভেরিয়েন্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুল
সারা বিশ্বে যে করোনা মহামারী তাণ্ডব চালিয়েছে তা এখনও আমাদের পিছু ছাড়ছে না। যদিও কিছুদিন ধরে সারা বিশ্বে এর ক্ষেত্রে কিছুটা পতন ঘটলেও এর বিপদ এখনও কাটেনি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় এই ভাইরাসের বিভিন্ন রূপ মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এখন করোনার একটি নতুন সাবভেরিয়েন্ট, JN.1 এর কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।
ICMR-এর ডিজি ডাঃ রাজীব বাহল জানিয়েছেন কেরলের কারাকুলাম, তিরুবনন্তপুরম থেকে ৮ ডিসেম্বর একটি RT-PCR টেস্টে নয়া এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। রোগীর ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো হালকা লক্ষণ ছিল।
করোনার এই নতুন সাবভেরিয়েন্টটি প্রথম লাক্সেমবার্গে শনাক্ত করা হয়েছিল, তারপরে ব্রিটেন, আইসল্যান্ড, ফ্রান্স এবং আমেরিকাতেও এর প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে । শুধু তাই নয়, খোদ ভারতেই করোনার এই সাবভেরিয়েন্টের একটি কেস প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি, এই নতুন সাবভেরিয়েন্ট JN.1 কেরালায় নিশ্চিত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সবার উদ্বেগ আরও একবার বেড়েছে। এমন পরিস্থতিতে করোনার এই নতুন সাবভেরিয়েন্ট সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় জানব, যা আপনার জন্য জানা গুরুত্বপূর্ণ।
JN.1 কি?
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, করোনার এই সাবভেরিয়েন্টটি ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্ট BA.2.86 এর পরবর্তী রূপ। বিজ্ঞানীদের মতে, JN.1 এবং BA.2.86-এর মধ্যে শুধুমাত্র একটি পরিবর্তন রয়েছে এবং তা হল স্পাইক প্রোটিনের পরিবর্তন।
JN.1 এর লক্ষণগুলি কী কী?
CDC-এর মতে, করোনার এই নতুন সাবভেরিয়েন্টের কোনও নির্দিষ্ট লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে, এর লক্ষণগুলি কোভিড -১৯ এর অন্যান্য রূপগুলির থেকে আলাদা কিনা তা নিশ্চিত করা কঠিন। আমরা যদি করোনার সাধারণ উপসর্গের কথা বলি, এর মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি এই ভ্যারিয়েন্টের দেখা দিতে পারে।
জ্বর
ক্রমাগত কাশি
দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া
নাক বন্ধ
সর্দি
ডায়রিয়া
মাথাব্যথা
বর্তমানে, JN.1 সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। সিডিসির মতে, করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় JN.1 বেশি বিপজ্জনক কিনা তার কোনো প্রমাণ এখনও সামনে আসেনি।