করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। কয়েকশো মানুষের মৃত্যুর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ। তার মধ্যেই ফের বড়সড় দুর্ঘটনার মুখ থেকে রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস।
Advertisment
মঙ্গলবার সন্ধেয় নয়াদিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস ঝাড়খণ্ডের সাঁওতালডিহি রেলওয়ে ক্রসিংয়ের কাছে একটি বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। রেল গেট ও লাইনের মাঝে ছিল একটি ট্রাক্টর। আর সেই সময়ই লাইন ধরে পের হওয়ার কথা ছিল রাজধানী এক্সপ্রেসের। আর একটু হলেই ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে ঘটে যেত একটি বড় দুর্ঘটনা।
ভোডুডিহ রেলস্টেশনের কাছে সাঁওতালডিহ রেল ক্রসিংয়ে এই ঘটনাটি ঘটে। ট্রাক্টরটি রেলওয়ে ট্র্যাক এবং গেটের মধ্যে আটকে ছিল। সেই সময় ট্রেনটি পেরনোর সময় ট্রাক্টরটিকে দেখে ব্রেক কষে থামিয়ে দেয়। তা নাহলে কী ঘটতে পারত তা ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মনীশ কুমার সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে জানিয়েছেন, "বোকারো জেলার ভোজুডিহ রেলওয়ে স্টেশনের সানথালডিহ রেল ক্রসিংয়ে একটি ট্র্যাক্টর রেল গেটে ধাক্কা মেরে আটকে পড়ে। তবে, ট্রেনের চালক দূর থেকে সেটিকে দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ব্রেক কষেন এবং ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়, যে কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৪.৪৫ মিনিট ঘটনাটি ঘটে। ট্রেন আসার খবরে গেটম্যান গেট ফেলতে দেরি করেন। ততক্ষণে একটি ট্রাক্টর এসে পৌঁছয়। ট্রেনও চলে আসে। বিপদ বুঝে ট্রাক্টর রেখে পালিয়ে যান চালক। ভোজুডিহ স্টেশনের আধিকারিকরা খবর পেয়েই ছুটে আসেন।
অনেক চেষ্টার পর ট্রাক্টরটি সরানো যায়। এর পর বিকেল ৫.২৭ মিনিটে ট্রেনটি ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে, গেটম্যানের অবহেলাই এমন ঘটনার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা জানা যাবে শীঘ্রই। তবে ঘটনায় কেউই হতাহত হননি।