অভয় দিয়েছে কেন্দ্র, বৈঠকে বসতেও রাজি কিন্তু কৃষি আইন নিয়ে নিজেদের দাবি থেকে অনড় রয়েছেন কৃষকেরা। নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এখনও দিল্লি গেটে বিক্ষোভ জারি রেখেছেন কৃষকরা। যদিও রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দিয়েছেন যে এই আইন আদতে কৃষকদের পক্ষের আইন, উপকৃত হবেন কৃষকরা।
তবে মোদীর বরাভয়ের পরও প্রতিবাদ জারি রেখেছে কৃষকরা। রাজধানীর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রবিবারই গভীর রাতে বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডার বাসভবনে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
রবিবার 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে মোদী বলেন এতদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কৃষকদের যে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিল তাঁর সরকার এই আইনের মাধ্যমে তা করে দেখিয়েছে। তিনি যুব সম্প্রদায়কে মূলত যারা কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে পড়ছেন তাঁদের বলেন যে গ্রামে গিয়ে কৃষকদের এই নয়া আইন বুঝিয়ে দিতে।
আরও পড়ুন, কোভিশিল্ডে স্নায়ুর সমস্যার দেখা দিচ্ছে, ভ্যাকসিন নিয়ে বড় অভিযোগ ভারতে
পাশাপাশি অমিত শাহ এই প্রতিবাদকে রাজনীতির বাইরেই রেখেছেন। তিনি বলেন, "গণতন্ত্রে প্রত্যেকের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমি এটা সকলকে বলতে চাই যে তিনটি কৃষি আইন কৃষকদের সুবিধার জন্যই। বহু বছর পর কৃষকরা একটা কঠোর সিস্টেমের বাইরে আসতে পারবেন এই আইনের মাধ্যমে। তবে এই প্রতিবাদ কোনও রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয়।" কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা কৃষক সংগঠনগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে সমস্ত ইস্যুগুলি ৩ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে সামনে আনা হবে।
চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে, দিলির বাইরে বুরারি মাঠে জমায়েত হোন। আপনারা সহযোগিতা করলে তবেই বৈঠক ফলপ্রসু হবে। যদিও কৃষকরা বুরারি মাঠে যেতে অস্বীকার করেছে। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে "বুরারি মাঠ আসলে খোলা কারাগারের মত। আমরা সেখানে যাব না। "
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন