মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, হাই স্পিড বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য মুম্বাই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডরের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার অচলাবস্থা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে এই নিয়ে সাথে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি ইঙ্গিতপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সম্ভবত অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে 'জমি সমস্যা' সমাধানের সূত্র মিলবে। ফলে বুলেট ট্রেন বাস্তবায়নের পথে আরও এককদম এগিয়ে যাবে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার সম্প্রতি ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে।
গুজরাট, দাদরা এবং নগর হাভেলিতে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার জানিয়েছে যে আনুমানিক ১৩৯৬ হেক্টর জমির প্রয়োজনের মধ্যে ১২৬৪ হেক্টর অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বাকী জমিও খুব তাড়াতাড়ি অধিগ্রহণ হবে বলেই সরকারের আশা। এর আগে শিবসেনাও রাজনৈতিক ভাবে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিল। মহারাষ্ট্রের প্রায় ২০০ একর জমি পূর্ববর্তী শিবসেনা সরকারের অধীনে অধিগ্রহণে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: < Bilkis Bano:‘নির্ভয়া কাণ্ডে যারা পথে নেমেছিলেন তাঁরা এখন কোথায়’! প্রশ্ন তুলে গর্জে উঠলেন শাবানা আজমি >
প্রকল্পটি সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে তার সিভিল টেন্ডারও চালু করেছে, যার মধ্যে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স হাই-স্পিড রেলওয়ে স্টেশনের নকশা ও নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আধিকারিকরা বলেছেন যে রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণের কাজও ত্বরান্বিত হয়েছে, বিশেষত মহারাষ্ট্র উপকূলে পালঘর এবং ডাহানুর মতো অঞ্চলে, ঐতিহ্যগত শিবসেনার দুর্গ হিসাবে পরিচিত সেই সকল অঞ্চলেও সুষ্ঠ ভাবে জমি অধিগ্রহণের পথে এগোতে শুরু করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য আনুমানিক খরচ ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, খরচ প্রায় ১.৬৫ লক্ষ কোটিতে পৌঁছতে পারে। রেলওয়েও মুম্বাই-নাগপুর হাই-স্পিড রেল প্রকল্পের কাজ শুরুর পথে। ৭৫৩ কিলোমিটারের জন্য খরচ হবে প্রতি কিলোমিটারে প্রায় ৩০০কোটি টাকা।