বাড়িতে লিও টলস্টয়ের কিংবদন্তী উপন্যাস 'ওয়ার অ্যান্ড পিস' কেন রেখেছিলেন, মামলায় অভিযুক্তকে বম্বে হাইকোর্টের এই প্রশ্নকে "সত্যিই উদ্ভট" আখ্যা দিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
বুধবার এলগার পরিষদ-ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত ভার্নন গনজালভেজের কাছে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি সারঙ্গ কোতোয়াল কৈফিয়ত চান, কেন 'ওয়ার অ্যান্ড পিস' এবং কিছু সিডি-র মতো "আপত্তিজনক জিনিস" নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে আজ, বৃহস্পতিবার, রমেশ টুইট করে বলেছেন, "নতুন ভারতবর্ষে স্বাগত"।
বিচারপতি কোতোয়ালের একক বেঞ্চের সামনে চলছিল গনজালভেজ এবং অন্যান্য কয়েকজনের জামিনের শুনানি। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি কোতোয়াল আরও বলেন যে "এসব বই" এবং সিডি দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয় যে সেগুলিতে রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান রয়েছে।
Truly bizarre that somebody is being asked by a judge of the Bombay High Court to explain why he has copy of Tolstoy's War & Peace, a true classic. And to think Tolstoy was a major influence on the Mahatma.
Welcome to New India!
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) August 29, 2019
"এটা সত্যিই উদ্ভট যে টলস্টয়ের ওয়ার অ্যান্ড পিস-এর মতো ক্লাসিক কেন তাঁর কাছে আছে, সে সম্পর্কে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতির কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে কাউকে। মনে রাখবেন, মহাত্মার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেন টলস্টয়। নতুন ভারতবর্ষে স্বাগত!"
নেপোলিয়নের জমানার পটভূমিকায় টলস্টয়ের কালজয়ী উপন্যাস নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় যখন পুণে পুলিশ দাবি করে যে মুম্বইয়ে গনজালভেজের বাড়িতে এক বছর আগে হানা দিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় বইটি বাজেয়াপ্ত করে "গুরুতর অপরাধপ্রবণতার প্রমাণ" হিসেবে। এছাড়াও গনজালভেজের বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে এমন দাবি করে বেশ কিছু বই এবং সিডি-র শীর্ষক পড়ে শোনায় পুণে পুলিশ, যেগুলির মধ্যে ছিল কবীর কলা মঞ্চ প্রকাশিত 'রাজ্য দমন বিরোধী' শীর্ষক কিছু সিডি।
"রাজ্য দমন বিরোধীর মতো নাম শুনেই মনে হয় রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান রয়েছে এতে, আর 'ওয়ার অ্যান্ড পিস' অন্য দেশে হওয়া যুদ্ধ সংক্রান্ত বই। কেন 'ওয়ার অ্যান্ড পিস'-এর মতো বই, বা এরকম সিডি বাড়িতে রেখেছিলেন আপনি? কোর্টের কাছে এর কৈফিয়ত আপনাকে দিতে হবে," বলেন বিচারপতি কোতোয়াল।
প্রসঙ্গত, বুধবার নিজের দলের অভ্যন্তরেই তাঁর এক সাম্প্রতিক মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েন রমেশ। আরেক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিরাপ্পা মোইলি অভিযোগ তোলেন, "বিজেপি নেতার সুরে" কথা বলছেন রমেশ। এই মন্তব্যের নেপথ্যে ছিল রমেশের বক্তব্য, যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলা করতে গেলে তাঁর ক্রমাগত দানবীয়করণ চলবে না।