/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/lockdown-1-2.jpg)
কৃষি, একশ দিনের কাজ সহ কয়লা, খনিজ পদার্থ উত্তোলনের কাজগুলোকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এতেই গরীব মানুষদের হাতে অর্থ যোগানো সম্ভব বলে মনে করেছে মোদী সরকার। গ্রামীণ অর্থনীতিও এর ফলে সচল থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
লকডাউন নির্দেশিকা যাতে মেনে চলা হয় তারজন্য কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজ্যগুলোর মুখ্য সচিব ও পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, ' ২০ তারিখ থেকে যাতে নির্দেশিকা মেনে কাজ চালু হয় তার জন্য সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিদের নিয়ে বৈঠক করছেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। পিএমও, স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রধান সচিবরাও ওই বৈঠকে হাজির রয়েছেন।'
স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক গাইডলাইনকে উদ্ধত করে বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, মনরেগা, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিকরণ, গ্রামীণ এলাকায় শিল্প চালু, সড়ক ও নির্মাণ প্রকল্প সহ বেশ কয়েকটি বিষয় ছাড়ের আওতাধীন করার কাজের সুযোগ তৈরি হবে। গরীবের হাতে টাকা আসবে।
উল্লেখ্য, কৃষি বিষয়ক সব ক্ষেত্রকে এই লকডাউনের বাইরে রাখা হয়েছে। উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির জন্য ব্যবহৃত মান্ডি, কৃষিজাত পণ্য বিক্রির দোকান, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কৃষিপণ্য নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। মৎস্যচাষ, চা, কফি উৎপাদন ও পশুজাত দ্রব্যের উৎপাদন যেমন দুধ, মাখন, ঘি, পনির প্রভৃতির ক্ষেত্রেও কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
আরও পড়ুন- ভারতজোড়া নয়া লকডাউনে কীসে ছাড়, কী নিষিদ্ধ? দেখুন একনজরে
সামাজিক কাজে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। বৃদ্ধ, শিশু, মহিলা ও গরিবদের জন্য কাজ করা সংস্থাগুলির কাজ চলবে। বয়স্কদের যাতে পেনশন ও অন্য ভাতার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফুড প্রসেসিং, পাটজাত দ্রব্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কোম্পানি, স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন, এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ইউনিট, ইন্ডাসট্রিয়াল টাউনশিপগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি ও কুরিয়র পরিষেবাতেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সংশোধিত নির্দেশিকার উদ্দেশ্য হল লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত লাভগুলিকে একীভূত করা এবং কোভিড ১৯-এর বিস্তারকে আরও কমিয়ে আনা। একই সঙ্গে কৃষক, শ্রমিক এবং দৈনিক মজুরি উপার্জনকারীদের হাতে অর্থের যোগান দেওয়া।
কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুশারে হটস্পট বা হটস্পট হতে পারে এমন কোনও স্থানই ছাড়েও আওতায় থাকবে না। প্রত্যেক কাজের ক্ষেত্রেই মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। সামাজিক দূরত্ব রেখেই কাজ করতে হবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন