নতুন সংসদ ভবনের শিল্পকর্ম জুড়েই ভারতীয় ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস। নতুন আর্টওয়ার্কের নকশা এবং প্রস্তাব প্রায় প্রস্তুত, তবে তা কার্যকর হতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে ডাইনিং হল সাজানোর জন্য আর্টওয়ার্ক ছাড়াও প্রায় আটটি নতুন গ্যালারী তৈরি করা হবে।
নতুন সংসদ ভবনের দেওয়াল জুড়ে থাকবে স্বাধীনতা আন্দোলনের গল্প, শীঘ্রই শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের কাজ। প্রথম তলায় দুটি গ্যালারি থাকবে, একটি দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান এবং অন্যটি স্বাধীনতা আন্দোলনে আদিবাসী সমাজের অবদান নিয়ে নির্মাণ করা হবে।
পাঁচ হাজার শিল্পকর্মে নতুন সংসদ ভবনে দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। পাঁচ হাজার বছরের ভারতীয় সভ্যতাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নবনির্মিত সাংসদ ভবনে। পরবর্তী পর্যায়ের জন্য নির্মাণ পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই চলছে, এই পর্যায়ে স্বাধীনতা আন্দোলন এবং ভারতীয় ঐতিহ্যের উপর ফোকাস করা হবে।
প্রস্তাবটি কার্যকর করতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রায় আটটি নতুন গ্যালারী অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ডাইনিং হলগুলিকে সাজানোর জন্য থাকবে আর্টওয়ার্ক। নতুন এই সংসদ ভবনটি সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ১২০০ কোটি ব্যায়ে নির্মিত এই সংসদ ভবনের ছবি দেখলে ভিরমি খেতেই হবে। একেবারে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে তৈরি করা হচ্ছে এই নতুন ভবন। এক উর্ধ্বতন আধিকারিক বলেন, যেহেতু সংসদ দেশের মানুষের কথা তুলে ধরে। তাদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করে তাই এই শিল্পকর্মগুলি সভ্যতা এবং সংস্কৃতি উভয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ভারতীয় নীতি ও মূল্যবোধকে তুলে ধরবে”। ভবনের অভ্যন্তরে, প্রতিটি দেওয়ালে উপজাতি ও মহিলাদের অবদানকে তুলে ধরা হবে।
ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য আর্টস (আইজিএনসিএ) এর সদস্য-সচিব সচ্চিদানন্দ যোশি বলেছেন, নয়া এই সংসদ ভবনে ভারতের "সম্মানের জন্য লড়াই”কে ফুটিয়ে তোলা হবে। স্বাধীনতা সংগ্রাম, উপজাতি আন্দোলন সহ ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে। প্রথম তলায় দুটি গ্যালারীও থাকবে - একটি দেশের উন্নয়নে নারীদের ভূমিকার উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হবে এবং আরেকটিতে স্বাধীনতা আন্দোলনে আদিবাসী নেতাদের ভূমিকাকে তুলে ধরা হবে। ভবনের অন্যান্য দেওয়ালগুলি শ্লোক এবং অন্যান্য পবিত্র চিহ্ন দিয়ে সজ্জিত থাকবে”।
তিনি আরও বলেছেন, ‘এই পর্যায়ের কাজে "মূল ধারণা ছিল ভারতীয় নীতিকে মাথায় রাখা এবং ভারত ও ভারতীয়তাকে প্রদর্শন করা।" সামগ্রিক প্রকল্পের ব্যয় অনুমান করা হচ্ছে ১২০০ কোটি টাকারও বেশি। স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সংবিধান প্রণয়নের সাথে জড়িত ব্যক্তিত্বদের জন্য উত্সর্গীকৃত ছয়টি গ্রানাইট মূর্তি, দুটি হাউসের জন্য চারটি গ্যালারি, থাকছে এই ভবনে।
নতুন ভবনটি পুরানো সংসদ ভবনের চেয়ে ১৭ হাজার স্কোয়ারফুট বড়। নতুন এই ভবনটি ৬৪,৫০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে নির্মিত হয়েছে। তথ্য অনুসারে, এই চুক্তিটি ২০২০ সালে টাটাকে ৮৬১.৯ কোটি টাকায় দেওয়া হয়েছিল। পরে খরচ বেড়ে হয় ১২০০ কোটি।এই ভবনটি সম্পূর্ণ ভূমিকম্প প্রতিরোধী, যার নকশা তৈরি করেছে ‘এইচসিপি ডিজাইন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’।