পুনেতে যক্ষ্মা রোধে একটি অভিনব ট্রায়াল শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে সহজেই প্রমাণ পাওয়া যায় যে কীভাবে বারবার যক্ষ্মা (টিবি) আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা যায়।
বারবার যক্ষ্মা (টিবি) আক্রান্ত ব্যক্তিদের কীভাবে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। কীভাবে ফের তাদের চিকিৎসার সহায়তা প্রদান করা যায় তা খতিয়ে দেখতে পুনেতে একটি নতুন ট্রায়াল শুরু হয়েছে। যাতে দ্বিতীয়বার যক্ষ্মা আক্রান্তদের তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা যায়।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এবং পুনের ডাঃ ডিওয়াই পাটিল কলেজ অফ মেডিসিন, হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের যৌথ পরিচালনায় শুরু হওয়া এই সমীক্ষায় এক হাজারের বেশি যক্ষ্মা আক্রান্ত নিজেদের নাম নথিযুক্ত করেছেন।
জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচি (এনটিইপি) এর সহযোগিতায় ২০২১ সালের জানুয়ারি চলছে এই সমীক্ষা। রোগীদের বাড়িতে পরিদর্শন, টেলিকলিংয়ের মাধ্যমে টিবি স্ক্রীনিংয়ের মতো কৌশলগুলির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে এই সমীক্ষায়। যক্ষ্মা রোগীদের নিরীক্ষণ করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সনাক্তকরণের কাজ চলছে জোরকদমে।
বিশ্বব্যাপী, প্রতি বছর রিপোর্ট করা প্রায় ৭% মানুষ যক্ষ্মায় পুনরায় আক্রান্ত হন। যাদের টিবি সাম্প্রতিক বা অতীতের ইতিহাস রয়েছে তাদের মধ্যে যাতে ফের যক্ষ্মার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই লক্ষ্যেই এই সমীক্ষা। ভারতে বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। রোগীদের ১০ থেকে ১৩% টিবি আক্রান্ত ফের একই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এমন তথ্যও সম্প্রতি সামনে এসেছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক ডঃ জোনাথন গোলুব সমীক্ষা প্রসঙ্গে বলেন "যক্ষ্মা রোগের পরে তাদের কী ধরনের যত্ন প্রয়োজন তা আমরা শনাক্ত করতে পারি এবং টিবির পরে তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে পারি।"
জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচি (এনটিইপি) কর্মীরা চিকিত্সা শেষ হওয়ার ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে সমস্ত রোগীদের বাড়িতে যান। তারা রোগীদের এবং তাদের পরিবারের পরিচিতিদের একটি টিবি উপসর্গগুলি স্ক্রিনিং করেন। যারা পজিটিভ তাদের যক্ষ্মা ইউনিটে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য রেফার করা হয়।
টেলিকলিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীরা ৬ এবং ১২ মাস চিকিত্সার পরে রোগীকে টেলিফোনের মাধ্যমে টিবি উপসর্গের নানান প্রশ্ন জানতে চান। রোগীকে জিজ্ঞাসা করা হয় পরিবারের পরিচিত কারুর যক্ষ্মার লক্ষণ আছে কিনা। সন্দেহ হলে তাদের যক্ষ্মা ইউনিটে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য রেফার করা হয়।