ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। কিন্তু, লকডাউনের মেয়াদ ফুরোচ্ছে ১৪ এপ্রিল। সেই সময়কালের মধ্যে আড়াই লাখ নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলির কাছে ইতিমধ্যেই করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধির কেন্দ্রীয় নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে ব্যাপকহারে অ্যান্টিবডি জাতীয় রক্ত ও লালারস পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর রিপোর্টের উপরই নির্ভর করবে করোনা রোধে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি। তাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ণের লক্ষ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে হরিয়ানার অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বাস্থ্য) রাজীব অরোরা জানান, ‘সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। সেখানেই বলা হয় যে, এখনও পর্যন্ত এক লক্ষ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু, ১৪ এপ্রিলের মধ্যে আড়াই লাখ নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন- লকডাউন প্রত্যাহারের আগে করোনা-শূন্য জেলাতেও কোভিড পরীক্ষা হবে
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত দেশজুড়ে ১,৪৪,৯১০ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনার প্রকোপযুক্ত মহারাষ্ট্রে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৩০, ২৯৯। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এগারোশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই, একাধিক রাজ্যের আর্জি মেনে লকডাউন বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে করোনার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কিত রিপোর্ট আজই জমা পড়বে কেন্দ্রের কাছে। যা পর্যালোচনার ভিত্তিতে লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
হরিয়ানায় করোনা আক্রান্ত ১৫৬ জন। ২,৯৬৪ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ২,০১৭ নেগেটিভ এসেছে। ৭৯১ ফলাফল জানার অপেক্ষায় রয়েছে। হরিয়ানার অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বাস্থ্য) রাজীব অরোরার কথায়, ‘শুক্রবার থেকেই রাজ্যজুড়ে করোনা পরীক্ষার জন্য ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝাঁপাতে বলা হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় নির্দেশ পূরণ করতে আগামী পাঁচদিনে হরিয়ায় করোনা পরীক্ষার হার দ্বিগুন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হরিয়ায়া প্রায় ৩ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তা বাড়িয়ে ৭ থেক সাড়ে ৭ হাজার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা করোনার উপসর্গ থাকলেই সেই ব্যক্তির লালারস বা অন্যান্টিবডি জাতীয় রক্তের পরীক্ষা করা হচ্ছে। রাজ্য থেকে নিজামুদ্দিন ফেরত সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন