Advertisment

গোড়াতেই সুনকের সিদ্ধান্ত কাঠগড়ায়, ভুল স্বীকারেই ব্রেভারম্যানের পুনর্বাসন, সাফাই নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

বেআইনিভাবে গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে গত সপ্তাহে ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Suella_Braverman

সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সময় বরখাস্ত হয়েছিলেন সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। ক্ষমতায় এসে সেই ব্রেভারম্যানকেই স্বরাষ্ট্রসচিব (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) পদে ফেরাতে তৎপর হয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নতুন প্রধানমন্ত্রী বুধবার বুঝিয়ে দিলেন কিছু ভুল করেননি।

Advertisment

সুনক জানিয়েছেন, বরখাস্ত ব্রেভারম্যান তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন। সেই ভুলের কথা তিনি স্বীকারও করে নিয়েছেন। তাই তাঁকে পুনরায় নিয়োগে কোনও আপত্তি নেই। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক উপস্থিতিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে সুনক বলেন, 'স্বরাষ্ট্রসচিব ভুল করেছেন। তিনি ভুল স্বীকারও করে নিয়েছেন।'

গত সপ্তাহে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রেভারম্যানকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ইমেল থেকে সরকারি নথিটি পার্লামেন্টের একজন সহকর্মীকে পাঠিয়েছিলেন। যা সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করেছে।

আরও পড়ুন- শ্রদ্ধা জানাতে আমিনির কবরের সামনে জমায়েত, জনতাকে গুলি ইরানের বাহিনীর, গ্রেফতার বহু

লেবার পার্টি গোড়া থেকেই ঋষি সুনককে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে তারা এই নিয়ে সুনককে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রশ্নোত্তর চলাকালীন লেবার নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুনককে। তিনি বলেছেন যে সুনক এমন একজনকে স্বরাষ্ট্রসচিব নিয়োগ করেছেন, যাকে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরের সংবেদনশীল নথি ইচ্ছাকৃতভাবে অপরকে দিয়ে দেওয়ার জন্য একসপ্তাহ আগে তাঁর পূর্বসূরি বরখাস্ত করেছেন।

বছর ৪২-এর কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ব্রেভারম্যান চলতি মাসের গোড়ায় ভারতীয় অনাবাসীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রেভারম্যান বলেছিলেন যে তাঁর আশঙ্কা ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি ব্রিটেনে ভারতীয়দের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে অনাবাসী ভারতীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেই সংখ্যাও আরও বেড়ে যাবে। সেই সময় ব্রেভারম্যান বলেছিলেন, 'ভারতের সঙ্গে উন্মুক্ত সীমান্ত অভিবাসন নীতি নিয়ে আমার উদ্বেগ রয়েছে। কারণ, আমি মনে করি না যে অনাবাসী ভারতীয়রা মোটেও ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছে।'

Read full story in English

Parliament Britain Rishi Sunak
Advertisment