১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণে নয়া নির্দেশ কেন্দ্রের। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করার নীতিতে পরিবর্তন।এবার থেকে অ্যাপ-এ নাম নথিভুক্তির পাশাপাশি সরাসরি সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়েও টিকা পেতে পারবেন এই বয়সের টিকাপ্রাপকরা। সোমবার প্রকাশিত সরকারি নির্দেশিকায় এ কথা জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই নির্দেশিকা জানাচ্ছে, আগে থেকে অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করার পরে কোনও ব্যক্তি সময় মতো সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে তাঁর নামে বরাদ্দ টিকা ‘অব্যবহৃত’ হয়ে থাকছে। সেই টিকা ওই কেন্দ্রে উপস্থিত নাম পোর্টালে নথিভুক্ত না করা ব্যক্তিকে দেওয়া যেতে পারে। সরকারি ওই টিকাকরণ কেন্দ্রে তাৎক্ষণিক ভাবে (ওয়াক-ইন) নয়া টিকা-প্রাপকের নাম নথিভুক্ত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
এমনকি, সংশ্লিষ্ট টিকাকরণ কেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও নাম নথিভুক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যদিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
এদিকে, এপ্রিলের পর সম্ভবত এই প্রথম দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমল বেশ কিছুটা। এপ্রিলের পর থেকে এই প্রথম দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লক্ষের নিচে নামল। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৪২ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে টিকাকরণের জন্যও এই হার কমতে পারে। ভারতের জনসংখ্যা তুলনায় টিকা ঘাটতি রয়েছে ঠিকই, তবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ ৪ হাজার ১৮৪। পাশাপাশি কোভিড নমুনা পরীক্ষাও চলছে। আইসিএমআরের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, গতকাল ভারতে ২১ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৮২ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় বেশ কিছুটা কমেছে মৃত্যুও। দেশে করোনায় ৩ হাজার ৭৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ২৬৬। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা-মুক্ত ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ১০২ জন।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও শিথিলতা কমানো যাবে না বলেই দাবি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সতর্ক থাকতে হবে। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে হবে। সমস্ত করোনাবিধি পালন করে চলতে হবে, এমনটাই জানিয়েছেন নীতি আয়োগ প্রধান।