হুহু করে ছড়াচ্ছে করোনা। একসঙ্গে আক্রান্ত ১৩০০ জন আক্রান্ত। XBB 1.16 ভেরিয়েন্টের দাপট। ফের আরও একটা নতুন তরঙ্গ? আতঙ্কে ঘুম উড়েছে দেশবাসীর। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদী উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সেরেছেন। আবারও শুরু হয়েছে দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের দাপট। একদিনে আক্রান্ত প্রায় ১৩০০।
১৪০ দিন পর নতুন করে করোনার দাপটে বিপদের আঁচ। দেশে করোনার মোট অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬০৫। দ্রুত ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিপ্তে করোনা ভাইরাসের নতুন তরঙ্গের আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার ক্রমবর্ধমান দাপটের কারণে দায়ি করা হচ্ছে XBB ভেরিয়েন্টকে। নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট XBB 1.16 এর দাপটেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস।
কেন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে এবং নতুন রূপ কি করোনার নতুন তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে?
এই বিষয়ে, দিল্লি AIIMS-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া সংবাদ সংস্থা পিটিআই কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'গত এক বছরে বেশ কিছু নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, যেগুলো মূলত ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট। ভাইরাস কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আগের মত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে না। কিন্তু করোনা ভাইরাস তার মিউটেশনের ফলে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নতুন রূপগুলি সামনে আসছে।
ডাঃ গুলেরিয়া বলেছেন কোভিড পরীক্ষা আগের থেকে এখন আরও বেশি বাড়ানো দরকার, তাহলেই সঠিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। কোথাও এমনও হতে পারে যে কোভিডের সংখ্যা বাড়ছে, ফ্লু-এর মতো উপসর্গের কারণে অনেকেই পরীক্ষা করান না। কিছু মানুষ আবার তাদের কোভিডে আক্রান্তের তথ্য গোপন করছেন। ফলে প্রকৃত সংখ্যা সামনে আসছে না'।
চিকিৎসকরা অবশ্য জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। এই সাবভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলি মৃদু এবং তুলনামূলক হালকা। হাসপাতালে ভর্তির মতো পরিস্থিতি এখনই তৈরি হয়নি, চিন্তার কোন কারণ নেই। বর্তমানে ওমিক্রন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। যে নতুন ভেরিয়েন্টগুলো আসছে সেগুলো শুধুমাত্র Omicron এর সাব ভেরিয়েন্ট। এখন পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেই সবচেয়ে 'ধ্বংসাত্মক' বলে মনে করা হয়।
XBB 1.16 ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হলে নিচের উপসর্গ থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসক মহল। জেনে নিন উপসর্গগুলি কী কী…
জ্বর
মাথাব্যথা
পেশী ব্যথা
ক্লান্তি
গলা ব্যথা
নাক বন্ধ
কাশি
পেটে ব্যথা
অস্থিরতা
ডায়রিয়া
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে COVID-19 এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে করোনা পরীক্ষা বাড়ানো জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্টের ওপরেও জোর দেওয়ার পাশাপাশি কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।