মাঙ্কিপক্সের বাড়বাড়ন্ত ক্রমশ চলতেই থাকায় এবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর। এর আগে আফ্রিকার বাইরে শুক্রবারই প্রথম ব্রাজিল এবং স্পেন থেকে মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর খবর মেলে। এই ব্যাপারে নিউ ইয়র্কের গভর্নর কেথি হোচুল জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা জানান। তিনি টুইট করেন, 'মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলায় আমাদের চেষ্টাকে শক্তিশালী করতেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি।'
তিনি জানান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চারটি মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে একাধিক ঘটনা রয়েছে নিউইয়র্কে। এছাড়াও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২৯ জুলাই পর্যন্ত নিউইয়র্কে মোট ১,৩৮৩টি অর্থোপক্সভাইরাস অথবা মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের অভিযোগ ছিল। গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের জন্য জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ঘোষণা করেছিল। মাঙ্কিপক্স নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তারা।
আরও পড়ুন- ‘সমাজকে বিভক্ত করাই কি রাজ্যপালের কাজ?’, কোশিয়ারির সমালোচনায় উদ্ধব
শুধু আফ্রিকা বা ইউরোপ কিংবা আমেরিকাই নয়, ইতিমধ্যে ভারতেও মাঙ্কিপক্স এসে পৌঁছেছে। কেরলে মাঙ্কিপক্স সংক্রমিত ব্যক্তিদের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তরা বিদেশ থেকে মাঙ্কিপক্স বহন করে এনেছেন, বলেই প্রশাসনের দাবি। তবে, স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, মাঙ্কিপক্স শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ না-হলে ছড়ায় না। সেই কারণে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে, মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের শরীর থেকে কোনও রস বা কষ সাধারণ নাগরিকের দেহে প্রবেশ করলে তাঁরও মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে, আক্রান্তদের আইসোলেশনে রেখে বিশেষ নজরে রাখার ব্যবস্থা করেছে কেরলের স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও।
Read full story in English