Advertisment

নিউ ইয়র্কে বাঘের করোনাভাইরাস, কী বলছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ?

চার বছরের ওই মালয় বাঘ, যার নাম নাদিয়া, তার বোন আজুল, আরও দুটি আমুর বাঘ এবং তিনটি আফ্রিকান সিংহ, সকলেরই শুকনো কাশি দেখা দিয়েছে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tiger coronavirus positive

মালয় বাঘ, প্রতীকী ছবি। সৌজন্যে: উইকিপিডিয়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানায় একটি বাঘের দেহে মিলেছে করোনাভাইরাসের চিহ্ন। রবিবার সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে এ খবর জানান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

Advertisment

মনে করা হচ্ছে, ওই বাঘটি তার তত্ত্বাবধায়কের দ্বারা সংক্রমিত হয়, যদিও সেসময় ওই ব্যক্তির কোনোরকম উপসর্গ দেখা দেয় নি।

চার বছরের ওই মালয় বাঘ (Malayan tiger), যার নাম নাদিয়া, তার বোন আজুল, আরও দুটি আমুর বাঘ এবং তিনটি আফ্রিকান সিংহ, সকলেরই শুকনো কাশি দেখা দিয়েছে, যদিও এদের সম্পূর্ণ সেরে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল, এক বিবৃতিতে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "আমরা অতি সাবধানতা অবলম্বন করতে গিয়েই বাঘটিকে পরীক্ষা করি, এবং এর ফলে আমরা যতটুকু জ্ঞানলাভই করি না কেন, তা যাতে নভেল করোনাভাইরাস সম্পর্কে দুনিয়ার জ্ঞান বৃদ্ধি করে, আমরা তা নিশ্চিত করব।"

ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানার বাঘ-সিংহরা আপাতত পশু চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বহাল তবিয়তেই রয়েছে, নিজেদের রক্ষকদের প্রতি স্বাভাবিক আচরণও করছে, যদিও তাদের খাওয়াদাওয়া একটু কমে গিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বিড়াল প্রজাতির বড় প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রভাব কতটা, তা এখনও জানা যায় নি, যেহেতু নতুন ধরনের সংক্রমণের প্রভাব বিভিন্ন প্রজাতির ওপর বিভিন্ন রকম হওয়ার সম্ভাবনা, তবে আমরা ওদের ওপর কড়া নজর রাখছি এবং আশা করছি ওরা পুরোপুরি সেরে উঠবে।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে, এবং গত ১৬ মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে শহরের চারটি চিড়িয়াখানা এবং সমস্ত অ্যাকুয়েরিয়াম।

চিড়িয়াখানার বক্তব্য, "এমন কোনও প্রমাণ নেই যে পশুদের থেকে মানুষের মধ্যে COVID-19 এর সংক্রমণ ঘটে, উহানের বাজারে একদম প্রাথমিক সংক্রমণ ছাড়া, এবং আমেরিকায় কেউ বাড়ির পোষা কুকুর বেড়াল বা অন্য কোনও পশুর দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন, তারও কোনও প্রমাণ নেই"।

এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চিনে আধিকারিকরা বলেছিলেন, উহানের বাজারে বিক্রি হওয়া বন্যপ্রাণীই এই রোগের সম্ভাব্য উৎস, যার দ্বারা আজ আক্রান্ত পৃথিবীর ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।

মার্কিন কৃষি বিভাগের ওয়েবসাইট বলছে, নাদিয়ার আগে আমেরিকায় আর কোনও পোষ্য অথবা বন্য প্রাণী করোনাভাইরাসের কবলে পড়েছে, এমন কোনও নজির নেই। তবে ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, "যাঁরা COVID-19 আক্রান্ত, তাঁরা পশুপাখিদের সঙ্গে যথাসম্ভব কম যোগাযোগ রাখুন, যতদিন না এই ভাইরাস সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।"

মার্চ মাসের শেষে বেলজিয়ামে একটি পোষা বেড়াল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। কয়েকটি পোষা কুকুরের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল হংকং থেকেও। এরা সকলেই তাদের সঙ্গে বসবাসকারী মানুষদের দ্বারাই সংক্রমিত হয় বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শহরের প্রতিটি চিড়িয়াখানায় সমস্ত বিড়াল প্রজাতির প্রাণী ও তাদের তত্ত্বাবধায়কদের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের এক সূত্র অনুযায়ী, ভারতের সমস্ত চিড়িয়াখানাতেও এই মর্মে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

Advertisment