গত সোমবারই সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে একদিনে দেশে ১ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। প্রথমবার দেশে দৈনিক সংক্রমণ এক লাখে পৌঁছনোর ঘটনায় মঙ্গলবার চরম আশঙ্কা প্রকাশ করলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আগামী ৪ সপ্তাহে মারাত্মক আকার ধারণ করতে বলে আভাস দিয়েছে কেন্দ্র। তাই যাঁদের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন এখন শুধুমাত্র তাঁদেরই টিকাকরণের কথা বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ভি কে পল বলেন, ‘‘দেশে অতিমারি পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। সংক্রমণ আরও বাড়ছে। জনসংখ্যার বড় অংশের এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’ প্রথম দফার তুলনায় এবার সংক্রমণের গতি আরও দ্রুত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক পল। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিমারীর তীব্রতা বাড়ছে। দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। মোটের উপর দেশজুড়েই এই পরিস্থিতি।’’
দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের ঢেউ ঠেকাতে জনসচেতনতার উপরেই নির্ভর করছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৪ সপ্তাহ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সচেষ্ট হতে হবে।’’ এর আগে মহারাষ্ট্রের তরফে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়, টিকাকরণের জন্য বয়সসীমা ২৫ বছর করা হোক। দিল্লি সরকারও কেন্দ্রের কাছে সব বয়সের মানুষের টিকাকরণের আর্জি জানায়।
কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের সাফ কথা, "আপাত লক্ষ্য হল মৃত্যুহার কমানো। যাঁদের সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাঁদের সুরক্ষিত রাখতে টিকাকরণের জন্য বর্তমানে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সসীমা রাখা হয়েছে। এমনটা নয় যে যাঁর প্রয়োজন তাঁকে টিকা দেওয়া হবে। বরং যাঁকে দেওয়া প্রয়োজন তাঁকেই টিকা দেওয়া হবে।"