ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের জন্য সুপার র্যাপিড গান মাউন্ট (SRGM)হোক অথবা 'ভবিষ্যৎ প্রজন্মের' অত্যাধুনিক অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে সরকার। এর ফলে এক দিকে যেমন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে খরচ কমবে তেমনই বাড়বে এবং আত্মনির্ভরশীলতা। সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, 'বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প বিবেচনাধীন রয়েছে। মন্ত্রিসভা অথবা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে এই মাসেই সেই সকল চ্যুক্তি বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন হবে'।
সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন নৌ-বাহিনীর জন্য বেশ কিছু অত্যাধুনিক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্রের নির্মান ভার ভারতীয় সংস্থার হাতে চলতি মাসেই দেওয়া হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে ফ্লিট সাপোর্ট শিপ, নেক্সট জেনারেশন অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল এবং নেক্সট জেনারেশন মিসাইল ভেসেল। এগুলির সবই ভারতীয় শিপইয়ার্ডে তৈরি হবে।
২০১৮ সালে, প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল (DAC) নৌবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক সেন্সর স্যুটে লাগানো ছয়টি নেক্সট জেনারেশন অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল (এনজিওপিভি)সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে। যার মাধ্যমে সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে আরও বেশি জোরদার করা হবে। ২০২১ সালে, কোচি শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি নেক্সট জেনারেশন মিসাইল ভেসেল নির্মাণের জন্য সর্বনিম্ন দরপত্র জমা দেয়। পাশাপাশি ২০১৯ সালে উপকূলে মোতায়েনের জন্য NGMMCBsতৈরি অনুমোদন পেয়েছে ব্রাহ্মোস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সোমবার ৯৩৪ কোটি টাকা ব্যায়ে এইচএসএলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চ্যুক্তি সাক্ষরিত করে।
এর আগে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, মন্ত্রণালয় ১০টি Lynx U2 ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম কেনার জন্য ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। ২০২১ সালে, BHELনৌবাহিনীর জন্য দুটি SRGM-এর অর্ডার পায়। BHEL তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচল খাতে গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম এবং পরিষেবা সরবরাহ করে আসছে। সংস্থাটি বলেছে যে এটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উত্পাদনে স্বনির্ভরতার দিকে অবদান রাখার জন্য বিশেষ উত্পাদন সুবিধা এবং ক্ষমতা স্থাপন করেছে এবং ভারত সরকারের আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শুক্রবার, মন্ত্রক হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে আইএএফ-এর জন্য ৬৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি ডর্নিয়ার-228 বিমান কেনার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। বিমানটি পরিবহন ও যোগাযোগের কাজে ব্যবহার করা হবে। এই মাসের শুরুর দিকে, সিসিএস ৬হাজার কোটি টাকাও বেশি কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০ টি এইচটিটি-40 বেসিক ট্রেনিং বিমান সরবহারের অনুমোদন পেয়েছে। বিমানটি, যা আইএএফ পাইলটদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান করবে, ছয় বছরের মধ্যে বিমানগুলি সরবরাহ করা হবে।