Advertisment

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চূড়ান্ত ব্যর্থ, কর্ণাটক সরকারকে ২৯০০ কোটি জরিমানা পরিবেশ আদালতের

আগামী দুই মাসের মধ্যে এই অর্থ জমা দিতে হবে কর্ণাটক সরকারকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
National_Green_Tribunal

কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা এবং পরিবেশবিধি ভাঙার অভিযোগে কর্ণাটক সরকারকে ২,৯০০ কোটি টাকা জরিমানা করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। গত ১৩ অক্টোবর এক নির্দেশে জাতীয় পরিবেশ আদালত জানিয়েছে, 'বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মন্দ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জেরে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। রাজ্যগুলো জাতীয় পরিবেশ আইন মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু, কর্ণাটক সরকার তা মানেনি। সেই জন্য কর্ণাটক সরকারকে ২,৯০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।'

Advertisment

আগামী দুই মাসের মধ্যে এই অর্থ জমা দিতে হবে কর্ণাটক সরকারকে। এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্ণাটকের মুখ্যসচিবকে। সরকারের জমা দেওয়া ওই অর্থ আগামী ছয় মাসের মধ্যে দূষণ প্রতিরোধে কাজে লাগানো হবে বলেই জাতীয় পরিবেশ আদালত জানিয়েছে।

জাতীয় পরিবেশ আদালত জানিয়েছে, 'কর্ণাটকের দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন ভেঙেছে কর্ণাটক সরকার। ২০১৬ সালে এই আইন তৈরি হয়েছিল। এই আইন ভাঙায় কর্ণাটকের পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি, তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মানা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত এক্ষেত্রে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- আন্ধেরি উপনির্বাচন থেকে প্রার্থী তুলে নিল বিজেপি, রাজ ঠাকরের আর্জিতেই কাজ?

এই সব ক্ষতি রুখতেই নানা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণের অর্থের সাহায্যে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' জাতীয় পরিবেশ আদালত মনে করছে, নিয়মিত বর্জ্য পরিষ্কারের ক্ষেত্রে গাফিলতি দেখিয়েছে কর্ণাটক সরকার। বিশেষ করে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কর্ণাটক সরকার প্রচণ্ড গাফিলতি দেখিয়েছে। কীভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা যায়, তার যাবতীয় পরিকল্পনা তৈরি করবেন কর্ণাটক সরকারের মুখ্যসচিব।

জাতীয় পরিবেশ আদালত জানিয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণের অঙ্গ হিসেবে জলাশয়গুলো পরিষ্কারে সরকারকে বিশেষ জোর দিতে হবে। সুষ্ঠু নিকাশির ব্যবস্থায় দিতে হবে জোর। সেচের জলের গুণগত মান সরকারকে বজায় রাখতে হবে। বর্জ্য পুনরায় কোনও কাজে লাগানো যায় কি না, সেই ব্যাপারেও ভাবতে হবে সরকারকে। আগুনের ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। কঠিন থেকে তরল সবক্ষেত্রে এই নিয়ম মানতে হবে কর্ণাটক প্রশাসনকে। যত দ্রুত সম্ভব এই নির্দেশগুলো কর্ণাটক সরকারের প্রশাসনকে মানতে হবে বলেই নির্দেশে জানিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।

Read full story in English

karnataka NGT Healthcare waste
Advertisment