Advertisment

ফেসবুকেই 'গাইড' খুঁজে পায় আইএস সন্দেহে ধৃত মুফতি সুহেইল

গত বুধবার আইএস মডিউলের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। দেশজুড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক ছিল ওই দলের বলে খবর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nia, এনআইএ

এনআইএ তল্লাশিতে উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র। ছবি: অনিল শর্মা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এ দেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস) মডিউলের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেলেন গোয়েন্দারা। আইএসে যোগ দিতে নেট দুনিয়ায় ভাল মতো ‘ব্রেনওয়াশ’ চালাতেন মডিউলের গাইডরা। গত ২৬ ডিসেম্বরে এ দেশে যে আইএস মডিউলের পর্দাফাঁস করেছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ), সেই মডিউলের মূল কাণ্ডারি তার গাইডকে খুঁজে পেয়েছিল ফেসবুকে।

Advertisment

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, আবু বশির আল খুরসানি নামে ফেসবুকে চ্যাট চালাত মুফতি সুহেইল। ২৯ বছর বয়সী উত্তর প্রদেশের আমরোহার এই ধর্মযাজক ফেসবুকেই তার বন্ধু তথা গাইডকে খুঁজে পায়। মুফতির বন্ধু আইএসের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আবু মালিক পেশওয়ারি বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি মুফতিকে শুধু আইএস মতাদর্শে অনুপ্রাণিতই করেনি, পাশাপাশি ভারতে শরিয়া আইন চালু করার কাজে তাকে যুক্ত করেছিল। পেশওয়ারির অঙ্গুলিহেলনেই আইএস কার্যকলাপে নিজের বন্ধু ও পরিচিতদের মুফতি যুক্ত করেছিল বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: পুলওয়ামার সংঘর্ষে নিহত ৪ জঙ্গি, প্রতিবাদ করতে গিয়ে জখম ১৬

এ প্রসঙ্গে এক তদন্তকারী জানিয়েছেন, "ফেসবুকে একে অপরের সঙ্গে আলাপের পর এরা নিজেদের ফোন নম্বর শেয়ার করেছিল। এরপর প্রতিদিন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তারা কথা বলত। যার মধ্যে রয়েছে টেলিগ্রাম। আলাদা একটি অনলাইন গ্রুপ বানিয়েছিল মুফতি। সেখানে বন্ধু ও পরিচিতদের অ্যাড করেছিল। বিদেশি হ্যান্ডলারদের সঙ্গেও কথাবার্তা চালাত তারা। বিদেশি হ্যান্ডলারদের নির্দেশবাণী মুফতির মাধ্যমে পৌঁছে যেত অন্যদের কাছে।"

তবে মুফতির মডিউলের সঙ্গে হায়দরাবাদে আইএস নিয়োগকারী আবদুল্লা বসিতের মডিউলের কোনও যোগ নেই বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, "ওদের একে অপরের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র এখনও পাওয়া যায়নি। দুটি দলের হ্যান্ডলাররাও আলাদা। আবদুল্লা বসিতের দলের হ্যান্ডলার অনলাইনে 'আবু হাজাইফা' নামে পরিচিত।" উল্লেখ্য, চলতি বছরের অগাস্টে বসিতের মডিউলের পর্দাফাঁস করে এনআইএ। ওই মডিউলের কয়েকজন সদস্য জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছিল। গত ২৩ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, জম্মু-কাশ্মীরে আইএস সদস্য ও বসিতের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আবু হাজাইফার। আমরোহা থেকে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় জম্মু-কাশ্মীর আইএস দলের দুই সদস্য।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার আইএস মডিউলের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। দেশজুড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক ছিল ওই দলের বলে খবর। রাজনৈতিক নেতা-সহ দেশের নামীদামী ব্যক্তিত্বরাই এদের টার্গেট ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তল্লাশি অভিযানে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র, এবং ২৫ কেজিরও বেশি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়। পাশাপাশি ১৩৪ টি সিম কার্ড, ১১২ টি অ্যালার্ম ক্লক, ও রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইসও উদ্ধার করা হয়।

Read the full story in English

islamic state kashmir national news
Advertisment