লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বড় সাফল্য পেল জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। ২০২৩ সালে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে হিংসাত্মক হামলার প্রধান অভিযুক্ত ইন্দরপাল সিং গাবাকে NIA গ্রেফতার করেছে। হাউন্সলোতে বসবাসকারী ইন্দরপাল সিং গাবার বিরুদ্ধে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে সহিংস হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার পর বিক্ষোভ চলাকালীন বেআইনি ক্রিয়াকলাপের জন্য ইন্দরপাল সিং গাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অমৃতপাল সিং, তার সহযোগী এবং খালিস্তানি সমর্থকরা পুলিশি পদক্ষেপের প্রতিবাদে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল বেশ কিছু খালিস্তানপন্থী সমর্থকরা। এ নিয়ে কানাডাতেও বিক্ষোভ হয়েছে। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় NIA এর জালে ব্রিটিশ নাগরিক। গত বছরের মার্চে ব্রিটেনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে হিংসার ঘটনা ঘটে। এই মামলায় এনআইএ একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে।
লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে হিংসার অভিযোগে ব্রিটেনে বসবাসকারী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে NIA। গত বছরের মার্চে বিক্ষোভ চলাকালীন ঘটে এই হিংসার ঘটনা। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি যুক্তরাজ্যের হাউন্সলোর বাসিন্দা। এনআইএ-র একজন মুখপাত্র বলেছেন যে লন্ডনে ১৯ এবং ২২ মার্চ যে ঘটনাগুলি ঘটেছিল তা ভারতীয় দূতাবাস এবং এর আধিকারিকদের আক্রমণ করার ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।
১৯ মার্চ ২০২৩-এ অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ চলাকালীন বেআইনি কার্যকলাপ চালানোর জন্য ইন্দরপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনআইএ বলেছে যে ২০২৩ সালের মার্চে লন্ডনে হামলাগুলি সেই সময়ে খালিস্তানিপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব পুলিশ নেওয়া পদক্ষেপের প্রতিশোধ সংগঠিন হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১৫ জনের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করেছিল।
১৯ মার্চ লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালায় প্রায় ৫০ জন। তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অনুপ্রবেশ, ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননা, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি এবং কমিশন অফিসারদের আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। অমৃত পাল বর্তমানে আসামের ডিব্রুগড় জেলে রয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গত বছরের এপ্রিলে পাঞ্জাব পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।
ঘটনার তদন্তে নেমে এনআইএ ডিব্রুগড় জেলে বন্দী ওয়ারিস পাঞ্জাব দে-এর প্রধান অমৃতপাল সিং এবং তার নয়জন সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এরপর এনআইএ পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় করেছিল।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিল ভারত
লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে ভারত ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ সরকারের কাছে এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত সরকার বিক্ষোভের গোয়েন্দা রিপোর্টও প্রকাশ করেছে। তবে ভারত সরকারের দেওয়া তথ্য সত্ত্বেও লন্ডন পুলিশ দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এই ঘটনার পর ভারত ব্রিটেনের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে জিজ্ঞাসা করে কেন ভারতীয় হাইকমিশনে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি? ভারত ব্রিটিশ সরকারের কাছে ভারতীয় হাইকমিশনকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার এবং তেরঙ্গার অবমাননাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি তুলেছিল।