ফের বড় সাফল্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র। ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটক থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের বিরুদ্ধে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীতে জেহাদি নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে জেহাদিদের সিরিয়া পাঠানোর জন্য অর্থ জোগাড় করত দুই অভিযুক্ত। আহমেদ আবদুল কাদের (৪০) এবং ইরফান নাসিরকে (৩৩) যথাক্রমে তামিলনাড়ুর রামানাথপুরম ও বেঙ্গালুরুর ফ্রেজার টাউন থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। কাদের একটি ব্যাঙ্কে বিজনেস অ্যানালিস্টের কাজ করত। আর ইরফান বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করে।
এনআইএ এই গত ১৯ সেপ্টেম্বর একটি মামলা রুজু করেছিল। এই জেহাদি নেটওয়ার্ককে বেঙ্গালুরু-আইসিস মডিউল নাম দিয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগসাজশ পাওয়া গিয়েছে ধৃতদের সঙ্গে। মুসলিম যুবকদের মগজধোলাই করে তাদের আইএস জেহাদি করার কাজ করত কাদের এবং ইরফান। তারপর অর্থ জোগাড় করত জেহাদিদের সিরিয়া পাঠানোর জন্য। এনআইএ-র দাবি, গত মার্চ মাসে কাশ্মীর থেকে আইএস জঙ্গি সন্দেহে ধৃত হিনা বশির বেগ এবং তার স্বামী জাহানজেব সামির কাছ থেকেই এদের তথ্য পাওয়া যায়। এই মামলায় বেঙ্গালুরু নিবাসী ডা. আবদুর রহমান ওরফে ডা, ব্রেভকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, কাদের, ইরফান এবং তাদের সঙ্গীরা ২০১৩-১৪ সালে সিরিয়ায় গিয়েছিল। সেখানে আইএস ক্যাম্পে বেশ কিছুদিন ছিল তারা। এরা প্রত্য়েকেই হিজবুত তেহরির গোষ্ঠীর সদস্য। তারা একটা গ্রুপর বানায় কোরান সার্কেল নামে। সেখানেই বেঙ্গালুরুর মুসলিম যুবকদের মগজধোলাই করা হত। আর তারপর সিরিয়ায় আইএস শিবিরে পাঠানো হত তাদের। সেজন্য টাকাও কাদের-ইরফানরা জোগাড় করতে বলে জানিয়েছে এনআইএ। দুজনকেই বেঙ্গালুরুর বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হলে তাদের ১০ দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন