ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ), সংশ্লিষ্ট রাজ্য পুলিশের সহায়তায়, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র সদস্যদের বিরুদ্ধে ফের তল্লাশি শুরু করেছে। মঙ্গলবার অভিযান চলেছে পিএফআই এবং এর রাজনৈতিক শাখা কর্ণাটকের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া-র (এসডিপিআই) দফতর সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এছাড়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে দিল্লি, অসম, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেও পিএফআই-র বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চলানো হয়েছে।
দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশের তেরটি রাজ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সদস্যদের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং পুলিশের। গ্রেফতার করা হয় সাত জনকে। এনআইএ-র বিবৃতে বলা হয়েছিল যে, 'পিএফআই নেতা ও সদস্যরা সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজনে জড়িত রয়েছে সেই খবর এবং প্রমাণের পর এনআইএ দ্বারা নথিভুক্ত পাঁচটি মামলার ক্ষেত্রে শীর্ষ পিএফআই নেতা এবং সদস্যদের বাড়ি ও অফিসে এই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। নিষিদ্ধ সংগঠনে যোগদানের জন্য সশস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং দেশবিরোধী কাজ রুখতেই এই পদক্ষেপ।'
অসমে, পিএফআই-য়ের সঙ্গে যুক্ত চার ব্যক্তিকে মঙ্গলবার নাগারবেরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 'পিএফআই-এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান জেলার অনেক জায়গায় চলছে' বলে দাবি করেছেন এডিজিপি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) হীরেন নাথ।
এদিকে, নাসিক পুলিশ পিএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত দু'জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পরে তাদের আদালতে তোলা হবে। "মালেগাঁও শহরে অভিযান চলছে," নাসিক পুলিশ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে।
পুলিশ দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পিএফআই-এর চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে জেলায় স্থানীয় পুলিশ এবং অপরাধ শাখার আধিকারিকদের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়, পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (অপরাধ) লক্ষ্মীকান্ত পাতিল এই খবর জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার উদুপি জেলার বিভিন্ন স্থানে পিএফআই নেতাদের বাড়িতেও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই অভিযানের সময় বিভিন্ন মামলায় চারজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে, কেরালার কোট্টায়াম এবং কোল্লাম জেলা থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর সংগঠনের ডাকা রাজ্যব্যাপী হরতাল চলাকালীন হিংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন পিএফআই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।