তবে কি কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী দাউদ ইব্রাহিমকে ভারতে আনার তোড়জোড় শুরু? দাউদ-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল এনআইএ-র। চার্জশিটে নাম থাকা তিনজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক হিসেবে দেখানো বাকি দু'জনের মধ্যে দাউদ-সহ তার আরও এক সহযোগী রয়েছে। দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানির বিরুদ্ধে ভারতে সন্ত্রাসমূলক একাধিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগেই এই চার্জশিট পেশ এনআইএ-র।
চার্জশিটে নাম রয়েছে আরিফ শেখ ওরফে আরিফ ভাইজান, সাব্বির শেখ ও মোহাম্মদ সেলিম কুরেশি ওরফে সেলিম ফলের। এই তিন দউদ সহযোগীকে আগেই গ্রেফতার করা হয়ছে। এছাড়াও দুই ওয়ান্টেড আসামির মধ্যে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিম নিজে ও শাকিল শেখ ওরফে ছোটা শাকিল। এনআইএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে অভিযুক্তরা ডি-কোম্পানির মতো একটি সন্ত্রাসবাদী চক্র চালাত। প্রত্যেকেই এরা একটি সংগঠিত অপরাধ সিন্ডিকেটের সদস্য। বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কজ করে এই গ্যাং অপরাধমূলক কার্যকলাপকে এদেশে আরও এগিয়ে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল।
এনআইএ-র আরও অভিযোগ, ভারতে বিভিন্ন সময় এই অভিযুক্তরা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অন্যদের খুনের হুমকি দিয়ে পর্যন্ত টাকার জোগাড় করত। বিপুল পরিমাণ টাকা জোগাড় করে এরা ভারতেই একাধিক নাশকতামূলক কাজকর্মে জড়িত রয়েছে। দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এরা ভয়ঙ্কর একটি হুমকি বলেই মনে করে জাতীয় তদন্ত সংস্থা।
আরও পড়ুন- দারুণ খবর! নামিবিয়া থেকে আনা আটটি চিতার মধ্যে দু’টিকে ছাড়া হল জঙ্গলে, উচ্ছ্বসিত মোদী
এনআই তদন্তে এও জানা গিয়েছে যে এই অভিযুক্তরা বিদেশে থাকা পলাতক বা ওয়ান্টেড আসামিদের কাছ থেকে হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা পেয়েছিল। সেই টাকাই তারা মুম্বই এবং ভারতের বিভিন্ন অংশে সন্ত্রাসমূলক কাজের জন্য ব্যবহার করেছে।
মুম্বই-সহ ভারতের একাধিক স্থানে বিভিন্ন সময় নাশকতামূলক কাজে দাউদ ইব্রাহিমের যোগ স্পষ্ট হয়েছে। দাউদ ভারত থেকে পালিয়ে গিয়ে তার অবস্থান বারবার বদলেছে। তবে দাউদ পাকিস্তানেই এখন বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত ভারতীয় গোয়েন্দারা। খোদ পাক সরকারের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই দাউদের মতো কুখ্যাত জঙ্গিকে দিনের পর দিন নিরাপত্তা দিয়ে কার্যত আগলে রেখেছে বলে দাবি ভারতের। যদিও পাকিস্তান বরাবরই ভারতের এই দাবি উড়িয়েছে।