অ্যান্টিলা গাড়ি বোমা-কাণ্ডে ধৃত পুলিশ আধিকারিক শচীন ভাজের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) মামলা দিল এনআইএ (NIA)। মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি রাখার ঘটনায় মুল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের এই আধিকারিক। তদন্ত চলাকালীন সাসপেনশনে রয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে বিশেষ এনআইএ আদালতে তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, সহযোগিতা করছেন না ভাজে। প্রতিবার জেরার সময় তাঁর আইনজীবীর উপস্থিতি চেয়ে সুর চড়াচ্ছেন তিনি। এদিকে, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কর্তা পরমবীর সিংহ। নিজের অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করতে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট পরমবীরের আইনজীবীদের জিজ্ঞাসা করেন, কেন তাঁরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগে হাইকোর্টে যাননি। তারা এও জানান, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে কেন এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তার জবাবে পরমবীরের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, আইনি কাজকর্ম চলছে। খুব তাড়াতাড়ি সেই কাজ হয়ে যাবে।
গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লেখেন পরমবীর। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই সব অভিযোগের সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। এমনকি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির বাইরে বোমা উদ্ধার হওয়ার পরে তাঁকে মুম্বই পুলিশের কর্তার পদ থেকে হোম গার্ডে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন তিনি।
চিঠিতে পরমবীর অভিযোগ করেন, তোলাবাজির চক্র চালাতেন অনিল। তাঁর এই চক্রের মধ্যে সচিন ওয়াজ-সহ অনেক আধিকারিক যুক্ত ছিলেন। সবাই মিলে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা করে তুলে দিতে হত অনিলকে। পুলিশ আধিকারিকরা এই টাকা তুলতেন বিভিন্ন বার, ক্লাব, রেস্তোরাঁ থেকে। এমনকি একাধিক তদন্তে অনিল হস্তক্ষেপ করতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।