পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এর জঘন্য পরিকল্পনা ফাঁস করেছে NIA। NIA, PFI-এর পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মুসলিম যুবকদের উস্কানি ও দেশবিরোধী প্রচারে উৎসাহিত করার অভিযোগ সামনে এনেছে। নিয়োগ এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরে ‘অস্ত্র প্রশিক্ষণ’ দেওয়ার বিষয়টিও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। NIA-এর দাখিল করা চার্জশিট অনুসারে বলা হয়েছে PFI-এর লক্ষ্য হল ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি ‘ইসলামিক স্টেটে’ পরিণত করা।
শুক্রবার দুটি পৃথক মামলায় জাতীয় তদন্ত সংস্থার দায়ের করা চার্জশিট অনুসারে, কেরালা এবং তামিলনাড়ুতে নিযুক্ত ৬৮ জন পিএফআই কর্মী ভারতকে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কাজ করছিলেন। এই নিয়ে NIA পিএফআই মামলায় চারটি চার্জশিট পেশকরেছে। ১৩ মার্চ জয়পুরে প্রথম চার্জশিট এবং ১৬ মার্চ হায়দরাবাদে দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে PFI কর্মীরা মুসলিম যুবকদের দেশবিরোধী কার্যকলাপে উৎসাহিত করছিল। এর জন্য তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে আইইডি তৈরি, সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো এবং তহবিল সংগ্রহের মতো একাধিক বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গত বছর ইউএপিএ আইনের অধীনে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। এরপর পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সমর্থনে সুর চড়ায় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘আইএসআইএস’। কর্ণাটকের শিবমোগা মামলায় তদন্ত সংস্থা যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সেই দুই অভিযুক্তের ক্ষেত্রেও ইসলামিক স্টেটের ভূমিকা সামনে এসেছে। অভিযুক্ত দুজনেই ২৫টির বেশি অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে NIA। এর পাশাপাশি NIA জানিয়েছে বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে পেমেন্ট ব্যবহার করে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সদস্যরা। এই মামলায় আরও অনেক আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কেরালায় পেশ করা চার্জশিটে পিএফআই ক্যাডারের হাতে পালাক্কাডের বাসিন্দা শ্রীনিবাসনের নৃশংস খুনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে ১০০ টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে NIA। প্রায় ১৭টি সম্পত্তি এবং ১৮ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পায় NIA যেগুলি সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেগুলিকে সিল করে NIA। চার্জশিটে NIA স্পষ্ট উল্লেখ করেছে দেশের একটি বড় অংশে হিংসা ও জিহাদ ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এর লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করা।