পাম্পোরা থেকে অবন্তীপোরার মধ্যে জাতীয় সড়কের ১৫ কিমি এলাকার মধ্যেই কেন বারবার হামলা হচ্ছে? পুলওয়ামার ঘটনার পর এ প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে মরিয়া তদন্তকারীরা। বিভিন্ন সময়ে ওই পথে নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা। কিন্তু হামলার জন্য জাতীয় সড়কের ওই অংশটিকেই কেন বাছছে জঙ্গি সংগঠনগুলি?
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে হাইওয়ের ওই অংশে বহুবার হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। সেনা এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা মোতায়েন থাকলেও হামলার জন্য ওই এলাকাকেই বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা। ২০১৬ সালের জুন মাসে ওই পথেই সিআরপিএফের একটি বাসকে থামিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় ৮ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়, জখম হন ২০ জনেরও বেশি। আরেকটি হামলাতেও সিআরপিএফের বাস লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সে ক্ষেত্রে জখম হয়েছিলেন ১১ জন। ২০১৪ সালে ওই একই পথে বিএসএফের কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা এবং প্রায় ১২ জন জখম হন।
আরও পড়ুন, কড়া জবাব দিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি: মোদী
এ প্রসঙ্গে এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘আগে যেসব হাইওয়ে তৈরি করা হয়েছিল, তার পাশে জনবসতি এলাকা থাকায় সুবিধা হত জঙ্গিদের। নতুন যেসব হাইওয়ে তৈরি করা হয়েছে, সেখানেও এমন অংশেই জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছে, যেখানে মানুষের বসবাস রয়েছে।’’
এদিকে, পুলওয়ামার হামলার ঘটনার তদন্তে উঠেপড়ে লেগেছে এনআইএ ও সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি। পুলওয়ামার বিস্ফোরণস্থল আলাদা করে পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, পুলওয়ামার বিস্ফোরণে ১০-১৫ কেজি আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, করাতকলের কর্মী থেকে জইশ জঙ্গি, কাশ্মীর হামলার মূল চক্রী আদিল
অন্যদিকে, শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে লেঠপোরায় হামলায় ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে ছবি, ভিডিও ও নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। কী ধরনের আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে তার ধরন জানতে ঘটনাস্থলে যায় ন্যাশনাল বম্ব ডেটা সেন্টারের একটি দল। পুলওয়ামা হামলার তদন্তে সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলছেন এনআইএ তদন্তকারীরা।
হামলার সময় একটি সন্দেহজনক নম্বর থেকে ফোন কল করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই ফোন কলটি কে করল? কোথা থেকে ফোন করা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Read the full story in English