জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান, সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘরে NIA। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে ৮টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ১৫টি ঘাঁটিতে তল্লাশিওভিযান চালিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। উপত্যকায় কীভাবে তহবিল ও অস্ত্র সরবরাহ করত সন্ত্রাসবাদীরা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে।
লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মহম্মদ, রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)সহ আট টি সংগঠনের একাধিক স্থানে মঙ্গলবার হানা দেয় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। NIA সূত্রে খবর এই সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা উপত্যকায় স্টিকি বোমা, আইইডি, নগদ, মাদকদ্রব্য এবং ছোট অস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণে জড়িত ছিল। সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে তাদের কাছে এইসব অস্ত্র সরবরাহ করা হত। রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষের ৪ দিন পর এই অভিযান চালায় তদন্তকারী সংস্থা। ৫ মে এনকাউন্টারে ৫ সেনা জওয়ান শহীদ হন।
৭টি জেলায় মোট ১৫টি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। অনন্তনাগের চারটি স্থানে, শোপিয়ানে তিনটি, বুদগাম, শ্রীনগর ও পুঞ্চে দুটি করে এবং বারামুল্লা ও রাজৌরি জেলার একটি স্থানে চলে তল্লাশি। এনআইএ বলেছে যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্যরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার এবং আইএসআইয়ের নির্দেশে কাজ করত। অন্যদিকে মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর মাদুরাই, ত্রিচি, ডিন্ডিগুল এবং চেন্নাই সহ ৬টি জায়গায় অভিযান চালায় NIA। নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই)একাধিক চত্বরে অভিযান চালানো হয়।
NIA এর আগে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ২০২২ সালের ২ মে গভীর সন্ধ্যা পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের ১২ টি জায়গায় অভিযান চালায়। যার মধ্যে পুলওয়ামা জেলার আটটি জায়গায়, কুলগাম, অনন্তনাগ এবং বুদগাম জেলায় একটি করে এবং জম্মুর একটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এছাড়াও ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ৫ রাজ্যের ১৭ টি জায়গায় হানা দিয়েছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া এবং পাঞ্জাব। নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ঘাঁটিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।