Advertisment

পুলওয়ামার মতো নাগরোটা এনকাউন্টারের তদন্তভার NIA-কে দিল কেন্দ্র

গত ১৯ নভেম্বরের সেই হামলায় এতদিন তদন্ত করছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভূস্বর্গের নাগরোটায় জঙ্গি হামলার তদন্তের ভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১৯ নভেম্বরের সেই হামলায় এতদিন তদন্ত করছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তদন্তভার নিয়েই একটি এফআইআর দায়ের করে। প্রাথমিক ভাবে এই হামলায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-এ-মহম্মদের হাত দেখেছে ভারত।

Advertisment

প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর জঙ্গি বোঝাই একটি ট্রাককে নাগরোটায় বান টোল প্লাজার সামনে থামায় নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই ড্রাইভার পালায়, যার এখনও খোঁজ নেই। সিআরপিএফ ও পুলিশ ট্রাকটিকে ঘিরে ফেলে। এরপর সেখানে যান জম্মুর আইজি মুকেশ সিং। সন্ত্রাসবাদীদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন তিনি। কিন্তু জইশ জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। গ্রেনেড বর্ষণ করে। প্রায় তিন ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের পর চার জঙ্গির মৃত্যু হয়। আহত হন দুই পুলিশকর্মী। ট্রাক থেকে বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ছিল ১১টি একে ৪৭, ২৯টি গ্রেনেড, তিনটি পিস্তল ইত্যাদি। এছাড়াও ওষুধ, তার, ইলেকট্রিক সার্কিট ইত্যাদি পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিন আসছে’, বৈঠকে জানালেন মোদী

ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, পাক পাঞ্জাব প্রদেশে ছিল চার নিহত জঙ্গির বাড়ি। সেখানেই তাদের আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ দিয়েছে মৌলানা মাসুদের ভাই মুফতি আসগর ও জইশের অপারেশনাল কমান্ডার জারার। বড় কোনও নাশকতার উদ্দেশ্যেই তাদের ভারতের পাঠানো হয়েছিল। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে যে মোবাইল ফোন ও টিপিআইএস পাওয়া গিয়েছে তার লিঙ্ক রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। উদ্ধার হওয়া ডিজিটাল রেডিওটিও পাক সংস্থা ‘কিউ’ মোবাইলের বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে যে, স্থানীয় ডিডিসি নির্বাচন বানচাল করতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

jammu and kashmir NIA Nagrota Encounter
Advertisment