করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের পাঁচটি শহরে ফিরল রাত কার্ফু। আজ, শনিবার রাত ১০টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে। ভূপাল, ইন্দর, গোয়ালিয়র, রাতলম ও বিদিশা শহরে রাত কার্ফু লাগু করল শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। তবে এর থেকে যানবাহন ও কারখানায় রাতে কর্মরত শ্রমিকদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি পর্যাবোচনায় শুক্রবার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। সঙ্কট মোকাবিলা দলের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে এই বৈঠকে মধ্যপ্রদেশে বেড়ে চলা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তারপরই যেসব শহরে নতুন করে বেশি করে সংক্রমণের খবর মিলেছে সেই পাঁচ শহরে রাতে কার্ফু বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং জানিয়েছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বা নিয়ন্ত্রণে আসছে ততদিন ভূপাল, ইন্দর, গোয়ালিয়র, রাতলম ও বিদিশা শহরে রাত কার্ফু লাগু থাকবে। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া রাজ্যের অন্য কোনও স্থানে লকডাউন জারি হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কোভিড পর্যালোচনা বৈঠক হবে। আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে কোন এলাকা কনটেনমেন্ট জোনভুক্ত হবে তা সেই বৈঠকেই নির্ধারিত হবে। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া কোথাউ গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ হবে না বলেও স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে নতুন করে ১,৫২৯ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। রাজধানী ভূপালেই দৈনিত আক্রান্তের হার সব থেকে বেশি। শুক্রবার এই ভূপালে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৭৮। এছাড়া রাতে কার্ফু জারি হওয়া বাকি চার রাজ্য- ইন্দর গোয়ালিয়র, রাতলম ও বিদিশাতের দৈনিত আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩১৩,৯৬,৭৬ ও ৩৯। এইসব শহরে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। শুক্রবার পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে মোট কোভিড পজিটিভের সংখ্যা ১,৮৯ লক্ষ।
এই অবস্থায় নিয়ন্ত্রিতভাবে রাজ্যে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল ও কলেজ খুলেছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও চলছে স্বাভাবিক ছন্দে। তাই করোনা সংক্রমণ যাতে আবারও দ্রুত গতিতে ছড়াতে না পারে তাই পাঁত শহরে ফের রাতে কার্ফু লাগুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন