সিংঘু সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলনস্থলের কাছে ৩৫ বছরের এক যুবকের নৃশংস খুনের ঘটনায় শনিবার পুলিশ এক নিহাঙ্গ শিখকে গ্রেফতার করল। সর্বজিৎ সিং নামে ওই নিহাঙ্গ শুক্রবার রাতেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলে জানা গিয়েছে। যুবকের গণপিটুনির ঘটনায় তার যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে নিহাঙ্গদের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে অভিযুক্ত সিংঘু সীমান্তে আসে। এখানে ঘোড়সওয়ার ইউনিটের মাথা ছিল সর্বজিৎ। সোনপতের পুলিশ সুপার জশনদীপ সিং রণধাওয়া জানিয়েছেন, একজন নিহাঙ্গকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে তাঁকে আদালতে তোলা হবে। খুনের ঘটনায় তার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিংঘু বর্ডারে গুরু গ্রন্থসাহিবের অবমাননার ঘটনার দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে গোটা ঘটনার।
শুক্রবার রাতে বেশ কিছু ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে, লখবীর সিংয়ের খুনের দায় স্বীকার করেছে সর্বজিৎ। তাঁর দাবি, লখবীর পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পাঞ্জাবের তরনতারন জেলার চিমা কালান গ্রামের দলিত শিখ লখবীরকে খুনের ঘটনায় নিহাঙ্গদের যোগসাজশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিংঘু সীমান্তে একটি গুরুদ্বারে গুরু গ্রন্থসাহিবের অবমাননার অভিযোগ উঠেছে লখবীরের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, সিংঘু সীমানায় কৃষকদের ধর্নাস্থলের কাছে পুলিশের ব্যারিকেডে ঝুলছিল হাত-পা কাটা যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। যা ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে চরম উত্তেজনা ওই অঞ্চলে। কে বা কারা এই নৃশংস কাজ করেছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন। এই ঘটনায় পুলিশের নিশানায়, কৃষক ধর্না আন্দোলনের অন্যতম সহযোগী নিহাঙ্গ শিখ গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, ভিডিও বার্তায় নিহাঙ্গ শিখ গোষ্ঠী এই খুনের দায় স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন সিঙ্ঘু সীমানায় পুলিশের ব্যারিকেডে বাঁধা যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ, নিশানায় নিহাঙ্গ গোষ্ঠী
ভাইরাল একটি ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুবকটিকে প্রথমে উল্টে যাওয়া পুলিশ ব্যারিকেডে বাঁধা হচ্ছে, পরে তার কব্জি কেটে ফেলা হয় এবং গোড়ালি, পা ভেঙে দেওয়া হয়। পুলিশের মতে, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে নিহাঙ্গ শিখ যোদ্ধা গোষ্ঠী। শিখ ধর্মগ্রন্থকে অসম্মান করেছে সন্দেহে ওই যুবককে তারা হত্যা করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন