বান্ধবীকে খুন করে অন্য মহিলাকে বিয়ে। সেই বিয়েতে বন্ধুদের সঙ্গে দেদার নাচে মেতেছিলেন প্রেমিক সাহিল গেহলটকে। সামনে এল হাড়হিম তথ্য। এর মাঝেই ধাবায় গিয়ে ২ বার ফ্রিজ খুলে মৃতদেহ দেখে আসে সাহিল।
নিকির ফোন থেকে চ্যাট এবং কলের ডিটেল মুছে ফেলা হয়েছে
পুলিশি জেরায় সাহিল গেহলট জানিয়েছেন যে তিনি নিকির সঙ্গে থাকবেন নাকি পরিবারের মতে বিয়ে করবেন তা নিয়ে তিনি চাপে ছিলেন। সাহিলের জানান, বাড়ির লোকেরা তাকে পরিবারের পছন্দের মেয়েকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। নিকি তাকে সম্পর্কে থাকতে জোর দেন। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, বিয়ের দিনেও ফাঁক পেয়ে সাহিল তার গাড়ি করে ধাবার দিকে রওনা হন। ২ বার নিক্কির দেহ দেখেও আসেন। এর মাঝেই নিক্কির ফোন থেকে মুছে ফেলা হয় সকল কল রেকর্ড ও চ্যাট।
অভিযুক্ত সাহিল বিয়ের দু’দিন পর ফের ধাবায় নিক্কির মৃতদেহ দেখতে যায়। সাহিল তদন্তে সাহিল জানান, গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে না করলে আইনি মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়েছিল নিক্কি। সেই রাগেই তিনি মোবাইলের তার দিয়ে পেঁচিয়ে বান্ধবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।
পুলিশের দাবি, সাহিল ও নিক্কির মধ্যে মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ছিল, কিন্তু সাহিল কাউকে কিছু না জানিয়ে ১০ই ফেব্রুয়ারি অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন। নিক্কি যখন বিষয়টি জানতে পারে, তখন নিক্কি তাতে তীব্র আপত্তি জানায়। এমন কী বিয়ের জন্য সাহিলকে জোর করতে থাকেন। গত ৮ এবং ৯ ফেব্রুয়ারি সাহিল নিক্কিকে কাশ্মীরি গেট এলাকায় দেখা করতে ডাকেন। পুলিশের দাবি, এদিনই দুজনের মধ্যে প্রবল তর্কাতর্কি হয় এবং এরপরই সাহিল নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর নিক্কির মৃতদেহ গাড়িতে করে এনে ফ্রিজের ভিতর লুকিয়ে রাখে।
পুলিশ জানায় ৯ই ফেব্রুয়ারি সাহিল নিকিকে তার সঙ্গে দেখা করতে ডেকেছিলেন। নিকি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উভয়ের মধ্যে প্রবল ঝগড়া বাঁধে হয় এবং সাহিল তার গাড়িতে রাখা ডেটা কেবিলের তার জড়িয়ে নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তার মৃতদেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে সাহিল এবং নিক্কি যাদব দুজনেই দুজনকে ২০১৮ সাল থেকে একে অপরকে চিনতেন। দুজনেই কোচিং সেন্টারে একসঙ্গে কোচিং করতেন। এরপর বেশ কিছুদিন লিভ-ইন রিলেশনে ছিলেন দুজনই। দুজনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। সাহিলের পরিবার অন্য কারুর সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করেছিল। তাকেই বিয়ের জন্য পরিবারের তরফে চাপ দেওয়া হলে সাহিল নিক্কিকে খুন করে।