Advertisment

দুযোর্গের কবলে পড়া আইআইটি ছাত্রের দল উদ্ধার

১৯ সেপ্টেম্বর ওই উনিশ জন আইআইটি পড়ুয়া এবং তাদের পাঁচ মালবহক তেহরি জেলার ঘুটটু থেকে রুদ্রপ্রয়াগ জেলার গৌরীকুন্ডর দিকে যাত্রা শুরু করেন। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে রয়েছে পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরও। এখনও ওই এলাকা থেকে রেড অ্যালার্ট তুলে নেওয়া হয় নি।

হিমাচল প্রদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে আটকে পড়েছিলেন ১৯ জন আইআইটি পড়ুয়া এবং তাদের পাঁচজন মালবাহক। কেদারনাথ উপত্যকার গৌরীকুন্ডতে ট্রেক করতে গিয়েছিলেন ছাত্ররা। মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসন ও বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের অভিযানে উদ্ধার করে উত্তরাখণ্ডের খারসৌলিতে নিয়ে আসা হয় ওই দলটিকে।

Advertisment

১৯ সেপ্টেম্বর ওই উনিশ জন আইআইটি পড়ুয়া এবং তাদের পাঁচ মালবহক তেহরি জেলার ঘুটটু থেকে রুদ্রপ্রয়াগ জেলার গৌরীকুন্ডর দিকে যাত্রা শুরু করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ তারা পৌঁছতে চেয়েছিলেন গন্তব্যস্থলে। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে দলটি বেশি দূর যেতে পারে নি। ঐ সময়ের ব্যবধানে গৌরীকুন্ড অবধিও পৌঁছতে পারেনি, বলেন তেহরির ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার কোকো রোজ। বুধবার রাতে ডিএফও জানান, ২৪ সদস্যের দলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে তেহরি জেলার খারসৌলিতে রয়েছেন তাঁরা। তিনি জানান, "আগামীকাল (অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার) তারা ঘুটু পৌঁছাবে।"

আরও পড়ুন: হঠাৎ বন্যায় হিমাচলে মৃত ২২, প্রকৃতির রোষ পাঞ্জাব, জম্মু কাশ্মীরেও

আইআইটি রুরকির মিডিয়া সেল থেকে সোনিকা শ্রীবাস্তব বলেন, "আমাদের ছাত্ররা হিমাচল প্রদেশে হারিয়ে গিয়েছিল, এবং তাদের বর্তমানে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, আমরা উত্তরাখণ্ডের ওই দলের ব্যাপারে চিন্তিত ছিলাম।" উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।

আকস্মিক ধেয়ে আসা হড়পা বানে তছনছ হয়ে গিয়েছে হিমাচল প্রদেশের একাধিক অংশ। সঙ্গে চলেছে তুষার ঝড় আর প্রবল বৃষ্টি। প্রকৃতির এই হঠাৎ তান্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে রয়েছে পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরও। এখনও বহু এলাকা থেকে রেড অ্যালার্ট তুলে নেওয়া হয় নি।

এই অঞ্চলে নদীগুলির জলের মাত্রা বেড়েছে, পং ড্যামের জল ইতিমধ্যেই বিপদসীমা পেরিয়েছে। ভাক্রা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড মঙ্গলবার বিকেল তিনটে নাগাদ জলের চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে পং বাঁধ থেকে প্রায় ৪৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে হয়। পাশাপাশি রোপার বাঁধ থেকেও রাতে প্রায় ১ লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়। যার ফলে জলে ডুবেছে হিমাচলের একাধিক এলাকা। সম্প্রতি নজরদারি বজায় রাখার জন্য এই জেলার প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব সরকারের অনুরোধে উদ্ধার কার্যের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

IIT
Advertisment