কেরালায় নিপা ভাইরাস যে থাবা বসিয়েছিল সেই সম্পর্কে গবেষণায় জানা গিয়েছিল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাদুড় (ফ্রুট ব্যাট) থেকে সংক্রমন হচ্ছে। সম্প্রতি কেরালার কোজিরোড়ে জেলার তিনটি হাসপাতালে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার কারণে এলাকায় এই ভাইরাস রোগ ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।'আউটব্রেক ইনভেস্টিগেশন অফ নিপা ভাইরাস ডিজিস ইন কেরালা' নামের রিসার্চ রিপোর্টটি সম্প্রতি সোসাইটি অফ আমেরিকা থেকে প্রকাশিত দ্য জার্নাল অফ ইনফেকসিয়াস ডিজিসে ছাপা হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রক, ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ও দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চয়ের সহায়তায় এই গবেষণা করেছেন মনিপাল সেন্টার অফ ভাইরাস রিসার্চের ডা. জি অরুণকুমার।
এবছর মে-জুনে কেরালার কোজিকোড়ে যে নিপার প্রাদুর্ভাব হয়েছিল তা অত্যন্ত মারাত্মক জুনোটিক ভাইরাস। ২৩টি মেডিক্যাল কেসে এই রোগের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। যদিও ল্যাবের মধ্যে ১৮টি কেস সম্মতিসূচক বার্তা দিয়েছে। কোজিকোড় এবং মালাপুরম জেলায় নিপায় মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ১৭ জনের। তবে ২৭ বছরের মহম্মদ সবিতার দেহের ভাইরাসের নমুনা নিপা কিনা তা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়নি।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে কোজিকোড়ে সংক্রমনের হার ৯১ শতাংশ। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য দফতর তাদের রিপোর্টে নিপায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের হার বলছে ৪০ থেক ৭৫ শতাংশ। মানুষ থেকে মানুষে নিপা ভাইরাস ছড়ানোর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি (২০০১) ও নদীয়ার (২০০৭) ঘটনার সমাঞ্জস্য লক্ষ্য করা গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ''প্রাথমিক ক্ষেত্রে সংক্রমন ছড়িয়েছিল নির্দিষ্ট গোষ্ঠী থেকেই। বাকি প্রায় সব ক্ষেত্রেই তিনটি হাপাতালে নেওয়া বা বার করার সময় সংক্রমিত হয়েছে''।
ডা. অরুণকুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''কেরালার সমস্ত হাসপাতালে নিপা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রন করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে যাতে সংক্রমণ না হয় সেদিকে নজর রাখতে নিয়মবিধি পালন করতে হবে...'' যদিও তিনি বলেছেম, কেরালায় আবার নিপা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভবনা নেই বললেই চলে।
Read the full story in English