মামারই বুলি আওড়ালেন ভাগ্নে! দেশে না ফেরার কারণ দর্শাতে গিয়ে গণপিটুনির ঘটনার কথা তুলেছিলেন হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। এবার কার্যত সেকথাই বললেন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রতারণায় মূল অভিযুক্ত নীরব মোদী। দেশে ফিরলে গণপিটুনির শিকার হতে পারেন নীরব, সে আশঙ্কাতেই তিনি দেশে ফিরছেন না বলে এদিন বিশেষ আদালতে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। মেহুলের ভাগ্নের সেই দাবিকে ফুৎকারে উড়িয়ে আদালতে ইডি পাল্টা জানিয়েছে যে, উনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারতেন।
এদিন প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের বিশেষ আদালতে একথা জানান মোদীর আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল। অন্যদিকে, দেশে গণপিটুনির প্রসঙ্গ টেনে নীরব যেভাবে তাঁর দেশে না ফেরার তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন তা কার্যত ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে এদিন আদালতে জানিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে যে, বহু ই-মেল ও সমন পাঠানো সত্ত্বেও তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেছেন নীরব মোদী। উনি এ দেশে ফিরতে চান না বলে মনে করছে ইডি।
আরও পড়ুন, PNB fraud case: প্রাণভয়ে দেশে ফিরছেন না, জানালেন মেহুল চোকসি
অন্যদিকে, নীরবকে পলাতক ঘোষণা করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। সেই প্রেক্ষিতে নীরবের আইনজীবী জানিয়েছেন যে, মোদী যখন দেশ ছেড়েছিলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ ছিল না। এমনকি, মোদী যে দেশে ফেরার প্রস্তাব নাকচ করছেন, তারও কোনও প্রমাণ নেই।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে দেশে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মেহুল চোকসি। গত এপ্রিল ও মে মাসে তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা ২টি জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজের আর্জি জানানোর পাশাপাশি তিনি কেন আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না, তার ১০টি কারণ দেখিয়েছিলেন এই হীরে ব্যবসায়ী। আদালতে আবেদনপত্রে মেহুল লিখেছিলেন যে, গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা প্রায়শই ঘটছে এ দেশে। এমনকি, জেলের মধ্যেও গণপিটুনির একটা ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেছেন নীরবের মামা। আর এই আশঙ্কাতেই তিনি দেশে ফিরছেন না বলে জানিয়েছিলেন আবেদনপত্রে।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই দেশ ছেড়ে পালন নীরব ও মেহুল। বর্তমানে নীরব মোদী ইংল্যান্ডে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার নাগরিকত্ব নিয়েছেন মেহুল। মামা-ভাগ্নেকে নিজেদের হাতে পেতে বহু কসরত করছেন দেশের তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত তাঁদের নাগাল পাননি তাঁরা।
Read the full story in English