সিবিআইয়ের একটি দল শুক্রবারই লন্ডন রওনা দিতে পারে। পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী প্রত্যর্পণ মামলায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তা দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ। শুক্রবারই নীরব মোদীর জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা।
সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারিককে প্রয়োজনীয় নথি পত্র সহ বুধবার লন্ডন রওনা দিতে বলা হয়েছে। ৪৮ বছরের হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসি ষড়যন্ত্র করে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, নীরব মোদীর প্রত্যর্পণ প্রচেষ্টা: এবার কী!
ব্রিটেনের সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ কিছুদিন আগে লন্ডনের এক উচ্চবিত্ত অঞ্চলে নীরব মোদীকে আবিষ্কার করে।
এর পর ভারতের প্রত্যর্পণের অনুরোধ এবং গত বছর সিবিআইয়ের রেড কর্নার নোটিশ জারির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নীরব মোদীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত সপ্তাহে তাঁকে ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস আদালতে হাজির করা হয়, যেখানে তিনি ভারতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মোদীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ডিস্ট্রিক্ট জজ মেরি মেলন তাঁকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। রায়ে তিনি বলেন, জামিন দেওয়া হলে নীরব মোদী যে আত্মসমর্পণ না-ও করতে পারেন, এমন কথা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, এ মাসের গোড়ায় নীরব মোদীকে ভারতের প্রত্যর্পণের অনুরোধ তাঁর বিরুদ্ধে পরওয়ানা জারি করার প্রক্রিয়ায় গতি এনেছে।
নীরব মোদী যে লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে সেন্টার পয়েন্ট টাওয়ার ব্লকের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে তিন শয্যাবিশিষ্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন এ কথা জানাজানি হওয়ার পর ভারতের অনুরোধের কথা প্রকাশ্যে আসে।
গত বছরের গোড়ায় নীরব মোদী লন্ডনে এসে পৌঁছেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করা পর্যন্ত অন্তত চারবার তিনি ব্রিটেনের বাইরে যাতায়াত করেছেন।
শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত, এখন বন্ধ হয়ে যাওয়া জুয়েলরি বুটিক নীরব মোদী অন ওল্ড বন্ড স্ট্রিটের ওপরেই থাকতেন তিনি।
বর্তমানে তিনি নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটেনের কোম্পানিস হাউজ রেজিস্টারে তাঁকে স্পেশালাইজড স্টোরে ঘড়ি ও গয়নার হোলসেল ও খুচরো ব্যবসায়ী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Read the Full Story in English