পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী বৃহস্পতিবার তার প্রত্যপর্ণের লড়াইয়ে হেরে গেল। তার ভারতে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে যেতে চেয়েছিল এই প্রতারক ব্যবসায়ী। কিন্তু, সেখানে হারের জেরে তার ভারতে প্রত্যর্পণের রাস্তা আরও সহজ হল। নীরবের বিরুদ্ধে ভারতে কোটি কোটি টাকা ঋণ শোধ না-দিয়ে পালানোর অভিযোগ আছে। যার জেরে পলাতক ৫১ বছরের ব্যবসায়ী এখন ভারতের চোখে প্রতারক এবং ঋণখেলাপি।
চার বছর আগে, ২০১৮ সালে ঋণখেলাপি নীরব ভারত ছেড়ে পালিয়েছিল। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে কোটি কোটি টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত নীরব ব্রিটেনের আদালতে বহু যুক্তি খাড়া করেছিল। যার অন্যতম ছিল, প্রত্যর্পণ হলে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা। এমনকী, আত্মহত্যার ঝুঁকিও বাড়তে পারে বলেই আদালতে জানিয়েছিল। কিন্তু, এসব শুনেও কিছুতেই মন গলেনি ব্রিটিশ বিচারপতির। তিনি নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণের চেষ্টার বিরুদ্ধে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অনুমতি দেননি।
লন্ডনের রয়্যাল কোর্ট অফ জাস্টিসে ঘোষিত এক রায়ে, লর্ড বিচারপতি জেরেমি স্টুয়ার্ট-স্মিথ এবং বিচারপতি রবার্ট জে জানিয়েছেন যে, 'সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন (নীরব মোদীর) প্রত্যাখ্যান করা হল।' মাত্র একসপ্তাহের মধ্যে এই রায় দিল ব্রিটেনের আদালত। বৃহস্পতিবার এই রায়ের ফলে ব্রিটেনে নীরব মোদীর আইনি সুরক্ষা কমে গেল। শুধু বিরুদ্ধে রায় দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি ব্রিটিশ হাইকোর্ট। তার সর্বশেষ আবেদনের জন্য ১৫০,২৪৭ গ্রেট ব্রিটেন পাউন্ড আদালতে জমা রাখার নির্দেশও দিয়েছে।
আরও পড়ুন- মেসিভক্ত কে এই জুলিয়ান আলভারেজ, যাঁকে নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ব্যাপক হইচই?
গত মাসে, নীরব মোদী যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি মানসিক কারণে ভারতে প্রত্যর্পণের উপযুক্ত নন। কিন্তু, তাঁর সেই যুক্তিই আদালত খারিজ করে দিয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চে প্রত্যর্পণের পরোয়ানায় গ্রেফতারের পর থেকেই নীরব মোদী লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারে আছে। আদালত তার রায়ে নীরব মোদীকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, 'এটাই তার শেষ আবেদন।' তবে, নীরব যদি আবেদনের খরচ জমা দিতে ব্যর্থ হন, তবে তার প্রত্যর্পণ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথবা, অবিলম্বে প্রত্যর্পণ চাইলে নীরবের হয়ে ভারত সরকারকে ওই অর্থ ব্রিটেনকে দিতে হবে।
Read full story in English