সন্দেহজনক ঋণ, আত্মীয়দের সঙ্গে বেআইনি লেনদেন, স্টকের অতরিক্ত মূল্য নির্ধারন করা, বাজে ক্রয়, নীরব মোদী কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার মাস আটেক আগেই বিপদ সংকেত পেয়েছিল আয়কর দফতর। তবে দেশের কোনও গোয়েন্দা সংস্থাকেই সে কথা জানানো হয়নি।
সিবিআই, ইডি, এসএফআইও, ডিআরআই কোনও তদন্তকারী সংস্থাকেই আয়কর দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়নি নীরব মোদী এবং তার সংস্থা সংক্রান্ত কোনও পর্যবেক্ষণ। পিএনবি কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সামনে আসতে শুরু করে একের পর এক তথ্য।
আরও পড়ুন, গণপিটুনির ভয়ে দেশে ফিরছেন না নীরব মোদী!
দেশের আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য রয়েছে রিজিওনাল ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল (আরইআইসি)। সেই সংস্থাকেও কিছুই আগে থেকে জানায়নি আয়কর দফতর। পাঞ্জাব ন্যশনাল ব্যাঙ্ক থেকে মোদী এবং চোকসির তিনটি সংস্থার জন্য ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভুয়ো লেনদেন ধরা পড়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তার আগেই মামা-ভাগ্নে দেশ ছেড়েছেন।
আয়কর দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "এ ধরনের তথ্য আয়কর বিভাগের কাছে থাকলে তদন্তকারী সংস্থাকে জানানোর নিয়ম নেই। "নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসি কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর থেকে ২০১৮-এর জুলাই-আগস্ট মাস থেকে আয়কর দফতরকে বলা হয়েছিল যাবতীয় তথ্য জানানোর জন্য, তারপর থেকে আমরা সবই জানিয়েছি।
দেশে ফিরলে গণপিটুনির শিকার হতে পারেন নীরব, সে আশঙ্কাতেই তিনি দেশে ফিরছেন না বলে দিন দুয়েক আগে বিশেষ আদালতে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
Read the full story in English