পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় নীরব মোদীকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। এবার ১৩ হাজার কোটি নয়, ২৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। ব্যাঙ্কের বেলজিয়ান অডিটরের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পিএনবি ও হীরে ব্যবসায়ী মোদীর মধ্যে মোট ১,৫৬১ টি লেটারস অফ আন্ডারটেকিং ইস্যু করা হয়। যার মোট মূল্য ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জালিয়াতি করে ২৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, মোদীর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ জানানোর পরই বেলজিয়ান অডিটরের দ্বারস্থ হন পিএনবি কর্তৃপক্ষ। সেই অডিট করতেই বেরিয়ে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, ১,৩৮১ টি লেটারস অফ আন্ডারটেকিংই জালিয়াতি করে মোট ২৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। যাঁদের নামে এই লেটারস অফ আন্ডারটেকিং ইস্যু করা হয়েছিল, নেপথ্যে থেকে তাঁদের পরিচালনা করছিলেন স্বয়ং নীরব মোদী। নীরব মোদী ও তাঁর অধীনস্থ সাতটি সংস্থার ফরেন্সিক অডিট করা হয় বলে খবর।
আরও পড়ুন: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন চিদাম্বরমের
নীরব মোদী ও তাঁর পরিবারের বেশ কিছু সম্পত্তি তালিকাভুক্ত করেছে অডিট টিম। ভারতে মোদীর ২০টি সম্পত্তি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলি ‘নন-চার্জড’। এছাড়াও এ দেশে মোদীর ১,৩০০ কোটি টাকা মূল্যের ১৫ টি সম্পত্তি ও দেশের বাইরে ১৩ টি স্থাবর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। রিপোর্টে নীরবের পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি, একটি বোট, এবং কিছু অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা মূল্যের ১০৬ টি চিত্রকলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এমএফ হুসেন, যামিনী রায়, যোগেন চৌধুরী, রাজা রবি বর্মার আঁকা ওই ছবিগুলি।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় অন্যতম মূল কাণ্ডারী হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসি। গত বছর এ অভিযোগ সামনে আসার আগেই দেশ ছেড়ে উধাও হয়ে যান মামা-ভাগ্নে। এরপর মোদী ও চোকসিকে হাতে পেতে কালঘাম ছোটে ভারতীয় তদন্তকারীদের। এখনও অধরা ওই দুই হীরে ব্যবসায়ী। তবে লন্ডনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন নীরব। তাঁর ভারতের কাছে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে।
Read the full story in English