নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিনয়ের প্রাণভিক্ষার কিউরেটিভ পিটিশন বাতিল হয়ে যায়। তারপরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল সে।
শুক্রবরাই দিল্লির পাতিয়ালা কোর্ট ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের চার দোষী পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬), অক্ষয় কুমার সিং (৩১) ও মুকেশ সিং (৩২)-এর মৃত্যুদণ্ডের আদেশের উপর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করে। এই মামলায় ফের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় আদালত। বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা জানান, আইনের সবদিক পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনা করেই ফাঁসির সাজা কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: নির্ভয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল
নির্দেশ বিচারপতি জানিয়েছেন, 'আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতির মাধ্যমে কারোর অভিযোগের প্রতিকার করা যেকোন সভ্য সমাজের বৈশিষ্ট্য। আইনী দিক থেকে রাষ্ট্র কাউকে বঞ্চিত করতে পারে না। এমনকী মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।'
এর আগে, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় মুকেশ। যদিও সে আর্জি খারিজ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেই প্রেক্ষিতে আর্জি খারিজের প্রশ্ন তুলে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে মুকেশ। যাও নাকচ হয়ে যায়।
ঘটনার সময় নিজেকে নাবালক দাবি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছিল গতকালই নির্ভয়ার সাজাপ্রাপ্ত আসামী পবন গুপ্তা। শুক্রবার সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। অপরাধের সময় পবন নাবালক ছিল বলে দাবি করেন তার আইনজীবী। গত ২০ জানুয়ারি এই আর্জি খারিজ করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অপরাধের সময় তার মক্কেলের বয়স ১৬ বছর ২ মাস ছিল বলে আগে আদালতে দাবি করেছিলেন পবন গুপ্তার আইনজীবী।
Read the full story in English