মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীর আবেদনের সামনে কোনও কিছুই অধিকতর জরুরি হতে পারে না। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের প্রাণভিক্ষার আবেদন আগেই খারিজ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। সেই সিদ্ধান্তকে শনিবারই আদালতে চ্যালেঞ্জ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী মুকেশ কুমার সিং। সেই আবেদনের জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানায় মুকেশ। তার প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি বলেছেন, 'মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীর আবেদনের সামনে কোনও কিছুই অধিকতর জরুরি হতে পারে না।'
আগামী ১লা এপ্রিল নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দোষীর আইনজীবীকে মৃত্যুদণ্ডের দিনক্ষণ উল্লেখ করে আদালতের অফিসারকে জানাতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রাণ ভিক্ষার আর্জি খারিজ, নির্ভয়ার ধর্ষক ফের আদালতে
সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন বাতিলের পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী মুকেশ(৩২), পবন গুপ্তা(২৫), বিনয় শর্মা(২৬) ও অক্ষয় সিং(৩১)। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন বাতিল করেন রামনাথ কোবিন্দ। সেই সিদ্ধান্তেরই প্রক্রিগত বিষয়কে চ্যালেঞ্জ গত শনিবার ফের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা রুজু করে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী মুকেশ। ওই দিনই দিল্লির আদালত মুকেষের দায়ের করা আরেকটি আবেদন খারিজ করেছিল। সেই আর্জিতে দোষীদের আইনজীবী অভিয়োগ করেন যে, জেল কর্তৃপক্ষের থেকে নথি চাওয়া হলেও তা মিলছে না। আদালত জানায়, পূর্বের নির্দেশই বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ফাঁসি দিতে প্রস্তুত তিহার, ‘শেষ সাক্ষাৎ ঠিক করুক আসামীরাই’
এদিকে ১লা ফেব্রুয়ারিু ফাঁসির সাজা কার্যকর করতে প্রস্তুতি চলছে তিহার জেলে। ৩ নম্বর সেলেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে জেল সূত্রে। নিয়মিত চিকিৎসা করা হচ্ছে আসামীদের। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কবে তারা শেষ সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী, সেই সিদ্ধান্ত তাদের উপরই ছেড়ে দিয়েছে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুশারে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই সময়সীমা রয়েছে।
Read the story in English