Advertisment

নির্ভয়া মামলা: তিহার কর্তৃপক্ষের নতুন পরোয়ানা জারির আর্জি খারিজ

নির্ভয়াকাণ্ডের চারদোষীর আলাদা ভাবে ফাঁসি দেওয়া যায় কি না, সেই মামলা আগামী মঙ্গলবার শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nirbhaya, নির্ভয়া, নির্ভয়াকাণ্ড, নির্ভয়া ফাঁসি, delhi gangrape case, দিল্লিতে গণধর্ষণকাণ্ড, ২০১২ সালে গণধর্ষণ, december 2012 gangrape case, সুপ্রিম কোর্ট, sc on delhi gangrape convicts, delhi high court on december 2012 gangrape, indian express bangla

নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষী মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় কুমার শর্মা, অক্ষয় সিং। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

নির্ভয়ার চার দোষীর বিরুদ্ধে নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করুক নিম্ন আদালত। এই আবেদন নিয়ে পাটিয়ালা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। তবে, জেল কর্তৃপক্ষের সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এদিকে নির্ভয়াকাণ্ডের চারদোষীর আলাদা ভাবে ফাঁসি দেওয়া যায় কি না, সেই মামলা আগামী মঙ্গলবার শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলা খারিজ করে দেওয়ার পর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisment

৩১ জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষী মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় কুমার শর্মা ও অক্ষয় কুমারের ফাঁসি কার্যকরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করে। সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার। তবে সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি আর ভানুমতির বেঞ্চ। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'এতে ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হতে পারে।'

আরও পড়ুন: নির্ভয়াকাণ্ডে আইনি ‘ফাঁসে’ ফাঁসি, হাইকোর্ট ফেরাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্র

এদিকে গত ৫ই ফেব্রুয়ারি আদালত নির্ভয়ার চার দোষীর পৃথক পৃথকভাবে ফাঁসির আবেদন খারিজ করে। আইনের সংস্থান নিয়ে দোষীরা বারংবার আর্জি জানানোয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাচ্ছে না। অপরাধীরা যাতে বার বার সেই সুযোগ নিয়ে ফাঁসি কার্যকরে দেরি করতে না পারে তার জন্যই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্র ও দিল্লির রাজ্য সরকার। আগামী সাত দিনের মধ্যে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশও দিয়েছে দিল্লির উচ্চ আদালত।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে সিনেমা দেখে দিল্লিতে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু। সেই সময় ফাঁকা বাসে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর একটি নির্জন রাস্তায় চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় তাঁদের। বহুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। এই ঘটনায় প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে গোটা দেশে। গ্রেফতার করা হয় হয় অভিযুক্তদের। পরে বিচার চলাকালীন কারাগারেই আত্মহত্যা করে এক অভিযুক্ত। বছর সাতেক পর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু, একের পর এক অভিযুক্ত ফাঁসি খারিজ এবং প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করায় ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়নি।

Read the full story in English

national news rape
Advertisment