Nirbhaya, 2012 Delhi Gang Rape Case Supreme Court Verdict: ২০১২ সালের নির্ভয়া মামলায় চারজন অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনের ফাঁসির সাজা বহাল রাখলেন সুপ্রিম কোর্ট। আজ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ তিন অভিযুক্ত বিনয় শর্মা (২৩), মুকেশ (২৯) এবং পবন গুপ্তের (২২) দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় শোনাল, এবং জানাল যে দোষীরা পূর্বতন রায়ে কোন ত্রুটি দেখাতে পারেনি। আদালত আরও বলেছেন, মূল ফাঁসির সাজা পুনর্বিবেচনা করার মত কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
আজ সুপ্রিম কোর্টের বাইরে নির্ভয়ার মা আশা দেবী।
Express video by Praveen Khanna#ieBangla pic.twitter.com/pEkYK8MHbv— IE Bangla (@ieBangla) July 9, 2018
আজকের রায়কে স্বাগত জানান মৃতার মা আশা দেবী। সংবাদ সংস্থা এ এন আই কে দেওয়া একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, "ওরা কেউ তো নাবালক ছিল না। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ওরা এই অপরাধ করেছিল। আজকের সিদ্ধান্ত আমাদের ভরসা দিয়েছে যে আমরা অবশ্যই সুবিচার পাব।"
২০১২ সালের ১৬ জিসেম্বর দিল্লির একটি চলন্ত বাসে নির্মমভাবে ধর্ষণ এবং ভয়াবহ যৌন নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে। ১৩ দিনের লড়াই শেষে ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। এরপর ঘটনায় যুক্ত ছ'জন ধর্ষককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
বিচার চলাকালীন তিহার জেলেই মৃত্যু হয় রাম সিং নামক এক অভিযুক্তের, সম্ভাব্য কারণ আত্মহত্যা। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের বয়স ১৮-র কম হওয়ায় নাবালক অপরাধী হিসেবে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল, তিন বছর পর মুক্তিও পায় সে। গত বছর ৫ মে বাকি চার অপরাধী বিনয় শর্মা, মুকেশ, অক্ষয় কুমার সিং, এবং পবন গুপ্তকে শীর্ষ আদালত ফাঁসির সাজা দেন। এরপরই এরা তিনজন ফাঁসির শাস্তির পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে আদালতে। তবে অক্ষয় (৩১) এখনও পুনর্বিবেচনার আবেদন করেনি।
অক্ষয়ের আইনজীবী এ পি সিং সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "শাস্তি কমানোর আর্জি জানিয়ে অক্ষয় এখনও আবেদন করে নি। খুব তাড়াতাড়িই সেই আবেদন জানান হবে।" এজন্য তাদের তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছেন শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, আজ একটি পৃথক ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের ভেতর থেকে মামলা চলাকালীন লাইভ স্ট্রিমিং-কে নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, এবং বিচারপতি এ এম খানউইলকার ও ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের একটি বেঞ্চ। এবছরের জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়সী অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিং একটি আবেদন জানিয়েছিলেন এই বলে, যে আদালতের যাবতীয় বিচার সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের অনুমতি দেওয়াটা সংবিধানের এবং দেশের স্বার্থে জরুরি। তিনি বলেন, এই নিয়ম পশ্চিমের বেশ কিছু দেশে কার্যকর করা হয়েছে, এবং লাইভ স্ট্রিমিংয়ের অনুমোদন এই মুহূর্তে না দেওয়া হলেও অন্তত ভিডিও রেকর্ডিংয়ের বন্দোবস্ত থাকা উচিৎ।
গত বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কয়েকটি নিম্ন আদালতের কার্যধারা রেকর্ড করার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল।