আইএমএফ ও বিশ্বব্যাঙ্কের বৈঠকে যোগ দিতে মার্কিন মুলুকে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই সংক্রান্ত বৈঠকে ভারতে বিরোধী সাংসদরা পদ হারানো, মুসলিম সংখ্যালঘুদের হিংসার শিকার হওয়ার নানা প্রতিবেদন তুলে ধরে সীতারমণের কাছে মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক্সের (পিআইআইই) সভাপতি অ্যাডাম এস পোসেনের প্রশ্ন ছিল- এই 'ধারণাগুলি' কী ভারতের পুঁজির বিনিয়োগে নেতিবাচক কোনও প্রভাব ফেলছে?
জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, 'ভারতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার বসবাস। সেই জনসংখ্যা কেবল সংবাড়ছে। বাস্তবে যদি এটাই হতো যে, রাষ্ট্রের মদতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের জীবন কঠিন ও বিপন্ন হচ্ছে তাহলে এই জনসংখ্যা ১৯৪৭ সালের পর থেকে বৃদ্ধি কীভাবে সম্ভব হয়? যেসব প্রতিবেদন তুলে ধরলেন তার মধ্যে বাস্ত পরিস্থিতি উহ্য রয়েছে।'
এই ইস্যুতে পাকিস্তানকেও এক হাত নিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। তাঁর কথায়, 'পাকিস্তানের প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। বলা ভাল এঁদের উপর নির্মম অত্যাচার চালিয়ে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মুহাজির, শিয়া এবং অন্য যেকোন সংখ্যালঘু সম্ভবত সুন্নিদেরও আক্রমণ করা হয়, এঁদের সেদেশের মূলধারায় গ্রহণ করা হয় না। আমি জানি না, সম্ভবত সুন্নিরা।'
এরপরই ভারতে মুসলিমদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে মোদীর মন্ত্রী সীতারমণ বলেছেন, 'দেশজুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিংসা হচ্ছে এই ধারণাটি ভ্রান্তি। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে বহু বিনিয়োগ হয়েছে। তাই আমি বলব, অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভরসা না রেখে নিজেরাই ভারতে আসুন। তাহলেই সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।'