জিডিপি নিয়ে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বুধবার বলেছেন, "প্রতিটি সংখ্যাই বিশ্বাসযোগ্য"।
কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে লোকসভায় তাঁর প্রথম জবাবি ভাষণে সীতারমণ বলেছেন ইকোনমিক সার্ভেতে যে বৃদ্ধির হার প্রজেক্ট করা বয়েছে তার সঙ্গে বাজেটে যে জিডিপি-র উল্লেখ করা হয়েছে, সে ফারাকের কারণ হল ২০১৯ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে কম হারের জিডিপি উল্লেখ করা হয়েছিল।
মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রমণিয়ান ইকোনমিক সার্ভেতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ বলে উল্লেখ করেছিলেন। বাজেটের একদিন আগে এই সার্ভে প্রকাশিত হয়। বাজেটে জিডিপির হার ১১ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি প্রসঙ্গে সীতারমণ
২০২৪-২৫ সালে ভারতীয় অর্থনীতিকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে সীতারমণের বক্তব্য, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এবারের বাজেট। তিনি বলেন," ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্যে আমরা আমাদের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলছি, চাকরির সুযোগ তৈরি করার কথা হচ্ছে, ভারতের মধ্যে উৎপাদন নিয়েও আলোচনা হচ্ছে যাতে দেশে বিনিয়োগ সুনিশ্চিত করা যায়।"
সীতারমণ একই সঙ্গে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সরকারের উদ্দেশ্য হল পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, যাতে আগামী ৫ বছরে ১০০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসতে পারে।
আর্থিক দৃঢ়তা প্রসঙ্গে সীতারমণ
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকার অর্থনীতির দৃঢ়তার পক্ষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে পাবলিক এক্সপেন্ডিচারে কোনও আপোস করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। কর সংগ্রহে ঘাটতি দেখা গেলেও সীতারমণের লক্ষ্য জিডিপিতে আর্থিক ঘাটতি ৩.৩ শতাংশ কমিয়ে আনা।
২০২৪ সালের মধ্যে প্রতি বাড়িতে জল
অর্থমন্ত্রী বলেছেন হর ঘর জল প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালের মধ্যে সব নাগরিকদের কাছে নিরাপদ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। তিনি বলেছেন এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করা হবে।
কৃষি প্রসঙ্গে সীতারমণ
কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সীতারমণ বলেন ২০২৪ সালের মধ্যে কৃষকদের রোজগার যাতে দ্বিগুণ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে সরকার।
ইউপিএ সরকারকে এক হাত নিয়ে সীতারমণ বলেন, "২০১৪ সাল থেকে সার সংগ্রহের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে কৃষকদের আর পুলিশের লাঠির বাড়ি খেতে হয় না।"
'মুদ্রাস্ফীতি কমে ৩%'
বিরোধী সাংসদদের স্লোগানের মধ্যে সীতারমণ বলেন, "২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি ৩ শতাংশে কমে এসেছে।"
Read the Full Story in English