অযোধ্যায় জমি বিতর্ক মেটাতে মধ্যস্থতার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল নির্মোহী আখড়া। গত ১৩ মার্চ মধ্যস্থতাপর্বে অসন্তোষ প্রকাশ করে সোমবার থেকে সরব হয়েছে নির্মোহী আখড়া।
মধ্যস্থতাকারীদের প্যানেলে সুপ্রিম কোর্টের আরও দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়োগের দাবি জানিয়েছে এই আখড়া। পাশাপাশি ফৈজাবাদের পরিবর্তে নয়া দিল্লিতে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবিও জানিয়েছে তারা। স্পর্শকাতর ইস্যু ও স্থানীয়দের চাপের কথা মাথায় রেখেই তাঁরা এই আবেদন করেছে বলে জানানো হয়েছে নির্মোহী আখড়ার তরফে।
আরও পড়ুন: অযোধ্যা সমস্যার সমাধানে তিন মধ্যস্থতাকারীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়
প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় জমি বিবাদ মেটাতে গত ৮ মার্চ মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে দেশের শীর্ষ আদালত। এজন্য তিন সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। মধ্যস্থতা প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এফএম খলিফুল্লা। অপর দুই সদস্যের মধ্যে রয়েছেন ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ও আইনজীবী শ্রীরাম পাঁচু।
উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া চালানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া 'ইন-ক্যামেরা' করার কথাও বলেছে আদালত। আদালতের নির্দেশানুসারে মধ্যস্থতা চলাকালীন এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না কোনও সংবাদমাধ্যম।
আজ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ‘চূড়ান্ত গোপনীয়তা’র মধ্যে মধ্যস্থতা পর্ব সম্পন্ন করতে হবে, নির্দেশে এমনটাই জানিয়েছে আদালত। নির্দেশে বলা হয়েছে, ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রথম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ৮ সপ্তাহের মধ্যে গোটা মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Read the full story in English