মোদী মন্ত্রিসভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সঙ্গে ইউটিউবারও। নেতা, নাকি ইউটিউবার- কোনটায় জনপ্রিয়তা বেশী তাঁর? হয়তো রাজনৈতিক নেতা নীতিন গড়করিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে মন্ত্রীর ইউটিউবার সত্ত্বা। নিজেই জানিয়েছেন বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল থেকে তাঁর মাসে আয় হয় চার লক্ষ টাকা।
লকডাউনের সময় সময় কাটাতে খুলেছিলেন ইউটিউব চ্যানেল। যা ক্রমশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। গড়করি জানিয়ছেন, করোনা অতিমারির সময়ই ইউটিউবে তাঁর বিভিন্ন লেকচার শোনার জন্য দর্শক সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে৷ সেই কারণেই ইউটিউব থেকে রয়্যালটি বাবদ তাঁর আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে৷
শুক্রবার মুম্বাই-দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি। জানান, জানিয়েছেন, এবার থেকে রাস্তা তৈরির ঠিকাদার এবং পরামর্শদাতা সংস্থাগুলির কাজের মূল্যায়ন করার জন্য রেটিং দেওয়ার পদ্ধতি শুরু করছে তাঁর মন্ত্রক৷ একই সঙ্গে গড়কড়ির জানান, করোনা অতিমারির সময় গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় দু'টি জিনিসের মাধ্যমে মূলত সময় কাটত তাঁর৷ একটি রান্না, অন্যটি ইউটিউব চ্যানেলে লেকচার দিয়ে।
আরও পড়ুন- ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিড-গ্রাফ, উৎসবের মরশুম শুরুর মুখে বাড়ছে উদ্বেগ
নীতিন গড়করির কথায়, 'অতিমারিকালে বাড়িতে থেকে আমি রাধুঁনি হয়ে গিয়েছিলাম৷ পাশাপাশি বিভিন্ন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লেকচার দিতে শুরু করি৷ এই সময়ের মধ্যে আমি অনলাইনে ৯৫০টি বক্তৃতা দিয়েছি৷ তার মধ্যে বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশেও ভাষণ রয়েছে৷ পরে সেগুলি ইউটিউবে আপলোড করা হয়৷'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে দর্শক সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইউটিউব থেকে এখন প্রতি মাসে মন্ত্রীর আয় চার লক্ষ টাকা।'
অকপটে সত্যি কথা বলতে দ্বিধা করেন না মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এ জন্য প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। এই যেমন শুক্রবারও তাঁর উদাহরণ মিলেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যাঁরা ভাল কাজ করে, তারা সমাদর পায় না৷
Read in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন