'ভারত প্রতিবেশীদের জমি দখল করতে চায় না, কেবল শান্তি চায়।' ভারত-চিন উত্তেজনার মাঝেই এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। সীমান্তে ও দেশের অভ্যন্তরে সুরক্ষা নিশ্চিৎকরণ মোদী সরকারের সাফল্য বলে দাবি করেছেন গড়কড়ি। এদিন নাগপুরে জনসংবাদ ব়্যালিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিবেশীদের বার্তা দেন মোদী সরকারের পরিবহণ, সড়ক ও এমএসএমই মন্ত্রী।
সেনা ও কূটনীতিক পর্যায়ে আলোচনা এগোলেও সীমান্ত ঘিরে লাদাখে ইন্দো-চিন উত্তেজনা অব্যাহত। গত কয়েকদিন ধরে উড়ি, রাজৌরি, পুঞ্চ সেক্টরে পাক বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। এর উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এদিন গড়কড়ি বলেন, 'দেশের একদিকে চিন, অন্যদিকে পাকিস্তান। আমরা শান্তি চাই। অহিংসতা বজায় রাখার পক্ষে আমরা।' এরপরই মরাঠী লেখক শিবাজী সাওয়ান্তের উপন্যাস উদ্ধৃত করে তিনি জানান, শান্তি ও অহিংসা তারাই রক্ষা করতে পারে যারা এর যোগ্য।
মন্ত্রীর সংযোজন, 'আমরা ভারতকে শক্তিশালী করতে চাই। কিন্তু, সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তা করা হবে না। আমরা ভূটানের জমি অন্যাভাবে দখল করব না। পাকিস্তানের বৈধ এলাকা ভারত দখল করতে রাজি নয়। চিনের জমিতেও আমরা কখনও ভাগ বসাতে চাইবো না। আমরা শুধু শান্তি, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা বজায় রাখতে আগ্রহী।' সরাসরি যুদ্ধে পাকিস্তান ভারতকে হারাতে পারবে না বুঝেই সীমান্ত সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রীর দাবি, 'উড়ি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর ভারত পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।'
মোদী সরকারের আমলে দেশ থেকে নকশাল সমস্যা অনেকটাই কমেছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, 'দেশে মাওবাদী সংস্যা আর নেই বললেই চলে। সীমান্তের সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরও নিরাপত্তা রয়েছে। সেনার বাহবা পাওয়া উচিত। বর্হির ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্য বদল এসেছে যা গত ৫০-৫৫ বছরে দেখা যায়নি। মোদী সরকার সুরক্ষা-নিরাপত্তাকে আগ্রাধিকার দেওয়ার কারণেই এই সুফল মিলছে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের বড় সাফল্য।'
করোনা ভ্যারসিন আবিষ্কার হতে আর বেশি দিন সময় লাগবে না বলে মনে করেন নিতিন গড়কড়ি। তাঁর কথায়, 'আমার কাছে যা খবর রয়েছে আর আল্প কয়েকদিনের মধ্যেই করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে যাবে। আর একবার তা হয়ে গেলেই এই সংকট ধীরে ধীরে কেটে যাবে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন