বিহারে মদ নিষিদ্ধ হলেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বিষ মদ খেয়ে। যাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটেই বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন যাঁরা মদ পান করেন তাঁরা 'মহাপাপী'। পাশাপাশি সাফ জানিয়েছেন যে,বিষ মদ পানের পরে যাঁরা মারা যায় তাদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার দায়বদ্ধ নয়।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'মহাত্মা গান্ধীও মদ খাওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। যাঁরা তাঁর নীতির বিরুদ্ধে যাচ্ছেন তাঁরা মহাপাপি এবং অযোগ্য। আমি এই লোকদের ভারতীয় মনে করি না।' নীতিশের কথায়, 'মদ খাওয়া ক্ষতিকারক তা জেনেও লোকেরা তা সেবন করে এবং এইভাবে তাঁরাই তাঁদের পরিণতির জন্য দায়ী, রাজ্য সরকার নয়।' নীতিশ কুমার তোপ দেগে বলেছেন, 'এটা তাদের দোষ। তারা জেনেও মদ সেবন করে যে এটি বিষাক্ত হতে পারে।'
বিহার বিধানসভায় মদ নিষিদ্ধকরণ এবং আবগারি (সংশোধন) বিল ২০২২ পাস হয়েছে। বিলটি এখন গভর্নরের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায়। সেখানে উল্লেখ, প্রথমবারের অপরাধীরা জরিমানা জমা দেওয়ার পরে ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে জামিন পাবেন। যদি কোনও ব্যক্তি তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাঁকে এক মাস জেল খাটতে হবে।
২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু তবুও মাঝেমধ্যেই বিষ মদ পানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নীতিশের দাবি, অন্য়ান্য রাজ্য মদ বিক্কির আয়ে রাজকোষ ভরায়, কিন্তু বিহারে তা হয় না। রাজ্যে ২০২১ সালের শেষ ৬ মাসে ৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে বহিষ মদের দরুন। যা নিয়ে সমালোতনার ঝড় হয়ে যায়। এরপরই আবাগারি আইন কঠোর করল রাজ্য সরকার।
Read in English