হামাসের সমর্থনে অস্ত্র ধরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লা। ইয়েমেনের হুথিরাও ইজরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। যুদ্ধ না থামালে ইরান প্রকাশ্যেই ইজরায়েল আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আমেরিকা শুরু থেকেক ইজরায়েলের পক্ষে থাকলেও এবার যুদ্ধবিরতির আর্জি জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কাছে। কিন্তু কোনও চাপের কাছেই নতিস্বীকার নয়, উল্টে ফের হুঙ্কার ছেড়ে গাজা নিয়ে নিজের অবস্থানেই অনড় রইলেন ইজরায়লের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর সাফ কথা, হামাসকে শেষ না করা পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রশ্নই ওঠে না। তবে, সেখানে ত্রাণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বন্টনে সাময়িকভাবে যুদ্ধ থামাতে রাজি নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, হামাস নির্মূলের পরই গাজার সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে ভাববে ইজরায়েল।
প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল। তাতে বহু ইসরায়েলীর প্রামহানি ঘটে। শয়ে শয়ে ইজরায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করে হামাস। এর পরেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তাতেও রক্তপাত হচ্ছে। শুরু থেকেই যুদ্ধে আমেরিকা ইজরায়েলকে সমর্থন করেছে। এবার অবশ্য বাইডেন প্রশাসন অন্য কথা বলছে। ইতিমধ্যেই মার্কিনি প্রশাসন মানবিকতার খাতিরে ইজরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে আর্জি জানিয়েছে। যা এদিন খারিজ করেছেন নেতানিয়াহু।
ইজরায়েল প্যালেস্তাইন যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা কত? গাজায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি, যার মধ্যে ৪ হাজার ১০০টিরও বেশি শিশু রয়েছে। এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। যুদ্ধে অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজরায়েলী অভিযানে ১৪০ জনেরও বেশি প্যালেস্তেনীয় নিহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ১৪০০-র বেশি ইজরায়েলী নিহত হয়েছেন। ২৪২জন জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে পণবন্দি রয়েছেন।
এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মোদী ইরানের প্রেসিডেন্টে সাঈযদ ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় দুই নেতাই মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণ সরবরাহ জারির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।